১৪ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৩শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

উত্তরপ্রদেশে ২৮০টি মুসলিম ধর্মীয় স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন, সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ বিজেপির

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের সাতটি জেলায় মোট ২৮০টি মুসলিম ধর্মীয় স্থাপনা ধ্বংস করেছে রাজ্য প্রশাসন। সরকারিভাবে জানানো হয়েছে, এসব স্থাপনা অবৈধ ও অনুমতি ব্যতীত নির্মিত হওয়ায় এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

ধ্বংস হওয়া স্থাপনাগুলোর মধ্যে রয়েছে ২২৫টি মাদ্রাসা, ৩০টি মসজিদ, ২৫টি মাজার এবং ৬টি ঈদগাহ।

যে জেলাগুলোতে এ অভিযান চালানো হয়, সেগুলো হলো মহারাজগঞ্জ, সিদ্ধার্থনগর, বলরামপুর, শ্রাবস্তী, বাহরাইশ, লাখিমপুর খেরি ও পিলভিট। এই এলাকাগুলো ভারত-নেপাল সীমান্তের নিকটবর্তী।

রাজ্য প্রশাসনের দাবি, স্থানীয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়েই এসব স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছিল। বিজেপি নেতৃত্বাধীন উত্তরপ্রদেশ সরকার বলছে, দীর্ঘদিন ধরেই এসব অবৈধ ধর্মীয় স্থাপনাকে ধর্মীয় উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসবাদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।

এই অভিযানের পেছনে বড় রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা প্রেক্ষাপটও রয়েছে। গত ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মিরের অনন্তনাগ জেলার পেহেলগামের বৈসরন উপত্যকায় এক সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন হিন্দু পর্যটক নিহত হন। হামলায় ব্যবহার করা হয় স্বয়ংক্রিয় রাইফেল।

টিআরএফ (দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট) নামের একটি জঙ্গিগোষ্ঠী এ হামলার দায় স্বীকার করে। তদন্তে জানা গেছে, এটি লস্কর-ই-তৈয়বার একটি শাখা, যা পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে সক্রিয়।

সরকারের পক্ষ থেকে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার পর সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর নিরাপত্তা জোরদার ও উগ্রবাদ দমনেই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

তবে এই অভিযানের পর দেশটির মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে চরম উদ্বেগ ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। অনেকেই এটিকে ধর্মীয় নিপীড়নের অংশ হিসেবে দেখছেন এবং প্রশ্ন তুলছেন আইনের দোহাই দিয়ে শুধু একটি সম্প্রদায়কে টার্গেট করা হচ্ছে কি না।

সূত্র: এনডিটিভি

ফেসবুকে আমরা

মন্তব্য করুন

guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সর্বাাধিক পঠিত নিউজ

Scroll to Top