নিজস্ব প্রতিনিধি:
জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একটি জাতীয় সনদ প্রণয়ন করবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এ সনদ বাস্তবায়নে প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে ভূমিকা রাখতে হবে বলে জানিয়েছেন কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
রবিবার (১৪ মে) ঢাকার সংসদ ভবনের এল. ডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)-এর আলোচনায় এসব কথা বলেন অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি উল্লেখ করেন, “ঐকমত্য কমিশনের এই উদ্যোগ বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশাকে ধারণ করে। গত বছরের চব্বিশের জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে মানুষের যে আকাঙ্ক্ষার স্ফুরণ ঘটেছে, তার একটি সুনির্দিষ্ট রূপ দিতে চায় কমিশন।”
আলোচনায় কমিশনের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. ইফতেখারুজ্জামান, মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, “গত বছরের গণঅভ্যুত্থানে মানুষের দীর্ঘদিনের ক্ষোভ এবং পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ পেয়েছে। এ দেশের মানুষ বারবার ফ্যাসিবাদের উত্থান দেখতে চায় না। আমরা এমন একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই, যেখানে সকলের সমানাধিকার, নাগরিক অধিকার সুনিশ্চিত থাকবে এবং ভিন্নমতের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ বজায় থাকবে।”
তিনি আরও বলেন, সংস্কার কমিশন থেকে প্রাপ্ত সুপারিশমালা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার কাজ করছে কমিশন। “এটি কেবল জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাজ নয়; রাজনৈতিক দলগুলোকেও জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে হবে এবং ভবিষ্যতের পথে অগ্রসর হতে হবে।”
এ সময় আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজের নেতৃত্বে সহ-সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতনসহ ১১ সদস্যের প্রতিনিধিদল। প্রতিনিধি দলে ছিলেন নিখিল দাশ, জনার্দন দত্ত নানটু, প্রকৌশলী শম্পা বসু, ডা. মনীষা চক্রবর্তী, জুলফিকার আলী, আহসান হাবিব বুলবুল, খালেকুজ্জামান লিপন, আবু নাঈম খান বিপ্লব এবং রাহাত আহম্মেদ।
আলোচনায় উভয়পক্ষ জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একটি সুসংগঠিত ও গ্রহণযোগ্য সনদ প্রণয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।