নিজস্ব প্রতিবেদক:
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় হামাসের সর্বশেষ যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে ইসরাইল। খসড়া পরিকল্পনায় হামাস ৭০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেয় এবং দুই ধাপে ১০ জন জীবিত জিম্মি ছাড়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। এ ছাড়া প্রতিদিন এক হাজার ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশের শর্তও ছিল।
তবে ইসরাইলি এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, এই প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য নয় এবং কোনো দায়িত্বশীল সরকার তা মেনে নিতে পারে না। তার দাবি, হামাসের শর্ত মেনে চললে যুদ্ধের মূল উদ্দেশ্য সফল হবে না।
এ আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দূত স্টিভ উইটকফ এবং ফিলিস্তিনি-আমেরিকান ব্যবসায়ী বিশারা বাহবাহ মধ্যস্থতা করেন। ট্রাম্প জানিয়েছেন, গাজা নিয়ে ইতিবাচক অগ্রগতি হচ্ছে এবং যুদ্ধ থামানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
অন্যদিকে গাজায় আবার সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। ইসরাইলের দাবি, তারা কয়েক দিনে ৮০০ হামাস যোদ্ধাকে হত্যা করেছে। তবে হামাস বলছে, এই সময়ে নিহত হয়েছেন ৩ হাজার ৭৮৫ জন ফিলিস্তিনি।
বর্তমানে গাজায় ৫৮ জন জিম্মি রয়েছে বলে ইসরাইল দাবি করে, যাদের মধ্যে ২০ জন জীবিত বলে ধারণা করা হচ্ছে। জিম্মিদের পরিবারগুলোর সংগঠন বলছে, আংশিক কোনো চুক্তি শুধু ব্যর্থতা ডেকে আনবে এবং সম্পূর্ণ সমাধান ছাড়া যুদ্ধ থামানো উচিত নয়।
ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, হামাসকে ধ্বংস এবং সব জিম্মিকে মুক্ত না করা পর্যন্ত যুদ্ধ চলবে। গাজায় এখন পর্যন্ত ৫৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
চলমান উত্তেজনার মধ্যে নতুন কোনো যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না, তবে আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতাকারীরা শান্তির পথ খুঁজে যেতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।