নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা এসএম শাহরিয়ার আলম সাম্যকে সুইচ গিয়ার দিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে আদালতে স্বীকার করেছেন আসামি মো. রিপন। তিনি জানিয়েছেন, দুটি গ্রুপ মিলে হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত করে এবং পরে কক্সবাজারে পালিয়ে যায় হত্যায় জড়িতরা।
সোমবার (২৭ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মিনহাজুর রহমানের আদালতে রিপন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। আদালত তার জবানবন্দি গ্রহণ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
রিপন জবানবন্দিতে জানান, সাম্যকে হত্যার পর তিনি মূল আসামিকে মোটরসাইকেলে করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মন্দিরের গেট পর্যন্ত নিয়ে যান। সেখান থেকে আরেকটি গ্রুপ তাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়। হত্যায় ৫-৭ জন সরাসরি অংশ নেয়, যাদের মধ্যে দুজন সাম্যকে আঘাত করে এবং অন্যরা আশপাশে পাহারায় ছিল। রিপনের দাবি, হত্যাকারীরা সবাই মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।
এদিন আদালতে আরও চার আসামিকে হাজির করা হয়। তাদের মধ্যে আসামি সোহাগ, হৃদয় ইসলাম ও রবিনকে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে হাজির করা হয় এবং আসামি সুজন সরকারের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামান সুজনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন এবং অন্য তিন আসামির দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে রোববার (২৬ মে) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এ পাঁচ আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এছাড়া ১৪ মে এ মামলায় আরও তিনজন—তামিম হাওলাদার, পলাশ সরদার ও সম্রাট মল্লিক—গ্রেফতার হন। তাদের প্রথম দফায় ছয় দিন এবং দ্বিতীয় দফায় পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৩ মে রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় একদল দুর্বৃত্ত ছাত্রদল নেতা সাম্যকে ছুরিকাঘাত করে। সহপাঠীরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরদিন ১৪ মে সাম্যের বড় ভাই শরীফুল ইসলাম শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি বর্তমানে ডিবি পুলিশ তদন্ত করছে।