নিজস্ব প্রতিবেদক:
নিউইয়র্ক টাইমস সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে দাবি করেছে, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে চলমান পারমাণবিক চুক্তির আলোচনা বানচাল করতে ইরানের মূল পারমাণবিক সমৃদ্ধিকরণ স্থাপনায় হামলার হুমকি দিচ্ছেন। তবে এ প্রতিবেদনকে ‘ভুয়া’ আখ্যা দিয়ে তা প্রত্যাখ্যান করেছে নেতানিয়াহুর দপ্তর।
মঙ্গলবার নেতানিয়াহুর দপ্তর থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে সংক্ষেপে বলা হয়, “এটি একটি ভুয়া খবর।”
নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, বিভিন্ন অবহিত কর্মকর্তার বরাতে বলা হয়েছে, ইসরাইল আশঙ্কা করছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এমন একটি অন্তর্বর্তী চুক্তিতে পৌঁছাতে পারেন, যা ইরানকে তাদের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো চালু রাখার সুযোগ দেবে—এটি ইসরাইলের জন্য একটি ‘রেড লাইন’ বলে বিবেচিত।
ইসরাইলি কর্মকর্তারা আরও আশঙ্কা করছেন, তেহরানকে ছাড় দেওয়া হলে তারা কয়েক মাস বা বছর পর্যন্ত পারমাণবিক কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারবে। অন্যদিকে, মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য অনুসারে, ইসরাইল মাত্র সাত ঘণ্টার প্রস্তুতিতেই ইরানে হামলা চালাতে সক্ষম।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ইসরাইলি কর্মকর্তারা যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে বলেছেন, এমনকি কূটনৈতিক সমাধান কার্যকর হলেও নেতানিয়াহু ইরানে হামলার নির্দেশ দিতে পারেন।
কূটনৈতিক পটভূমি:
ইসরাইলের কৌশল বিষয়ক মন্ত্রী রন ডারমার ও গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রধান ডেভিড বারনিয়া সম্প্রতি রোমে ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের সঙ্গে বৈঠক করেন। এরপর ওয়াশিংটনে গিয়ে সিআইএ পরিচালক জন র্যাটক্লিফের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তারা। মঙ্গলবার ডারমার আবার উইটকফের সঙ্গে বৈঠক করেন।
যুক্তরাষ্ট্র-ইরান আলোচনার বড় বাধা হিসেবে রয়েছে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা বন্ধ না করা। যুক্তরাষ্ট্র এ স্থাপনাগুলো সম্পূর্ণভাবে ত্যাগের দাবি জানালেও ইরান তা প্রত্যাখ্যান করেছে।
এদিকে, হোমল্যান্ড সেক্রেটারি ক্রিস্টি নোম জানান, সোমবার নেতানিয়াহুর সঙ্গে তার একটি খোলামেলা আলোচনা হয়েছে এবং ট্রাম্পের বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন—“এ প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে ও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”
উল্লেখ্য, চলতি মাসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্য সফরে ইসরাইলকে এড়িয়ে গেছেন এবং কিছু নীতিগত ঘোষণা দিয়েছেন, যা ইসরাইলের কাছে ছিল অপ্রত্যাশিত। যদিও নেতানিয়াহু ও ট্রাম্প উভয়েই যুক্তরাষ্ট্র-ইসরাইল সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার গুঞ্জন অস্বীকার করেছেন।