নিজস্ব প্রতিবেদক:
গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর চলমান হামলায় নিহত হয়েছেন আরও অন্তত ৭০ জন ফিলিস্তিনি। গুরুতর আহত হয়েছেন অনেকেই। অব্যাহত হামলায় গাজার উত্তরাঞ্চলের একমাত্র কার্যকর হাসপাতাল ‘আল-আওদা’ সম্পূর্ণভাবে অচল হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এক প্রতিবেদনে জানায়, বৃহস্পতিবার মধ্য গাজার বুরেইজ শরণার্থী শিবিরে আবাসিক ভবনগুলোর ওপর চালানো হামলায় অন্তত ২৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আহতদের আল-আওদা ও আল-আকসা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
আলজাজিরার সংবাদদাতা তারেক আবু আযযুম জানান, জরুরি সেবাদানকারী সংস্থাগুলো জানায়, ঘটনাস্থল থেকে হতাহতদের উদ্ধার করতে তাদের অন্তত ৩০ মিনিট সময় লেগেছে। এতে বোঝা যায়, স্থানীয় উদ্ধার কার্যক্রম কতটা কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে।
ফিলিস্তিনের সরকারি বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানায়, উত্তর গাজার জাবালিয়ায় একটি কিন্ডারগার্টেন ও একটি আবাসিক ভবনে ইসরাইলি হামলায় অন্তত সাতজন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে শিশুদেরও থাকার আশঙ্কা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার গাজার কেন্দ্রস্থলে গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশনের একটি নতুন ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে একাধিক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে, এতে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। একই দিন গাজা সিটির সারায়া জংশনে ইসরাইলি বিমান হামলায় আরও কয়েকজন নিহত হন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, উত্তর গাজার ‘আল-আওদা’ হাসপাতাল এখন আর কার্যকর নেই। ইসরাইলি বাহিনীর সরাসরি আদেশে হাসপাতালটি খালি করে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে সেখানে অন্তত ৫০ জন মানুষ, যার মধ্যে কয়েকজন রোগীও রয়েছেন, অবরুদ্ধ অবস্থায় আছেন। সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় হাসপাতালের জরুরি যন্ত্রপাতিও সরানো সম্ভব হচ্ছে না।
গাজায় চলমান হামলার কারণে সেখানকার স্বাস্থ্যখাত, মানবিক সহায়তা ও সাধারণ মানুষের জীবন এক চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। পরিস্থিতি অবনতির দিকে যাচ্ছে বলে সতর্ক করেছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা।