নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে দুইটি সমঝোতা স্মারক (MoU) সই হয়েছে। শনিবার ঢাকার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ চুক্তিগুলো স্বাক্ষরিত হয়।
বাংলাদেশের পক্ষে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন এবং চীনের পক্ষে দেশটির বাণিজ্যমন্ত্রী ওয়াং ওয়েনতাও এই স্মারকগুলিতে স্বাক্ষর করেন।
চুক্তি স্বাক্ষরের আগে চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী ওয়াং ওয়েনতাওয়ের নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। বৈঠকে কৃষি উন্নয়নে ড্রোন প্রযুক্তির গুরুত্ব তুলে ধরেন শেখ বশিরউদ্দীন এবং চীনকে এ খাতে প্রযুক্তিগত সহায়তা দেওয়ার আহ্বান জানান।
চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, চীন স্মার্ট কৃষি ও ড্রোন প্রযুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশের কৃষি উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করতে প্রস্তুত। তিনি বাংলাদেশের সঙ্গে বিনিয়োগ ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা আরও বাড়ানোর আগ্রহও প্রকাশ করেন।
বাণিজ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, বাংলাদেশের বিশাল সমুদ্রসীমা থাকলেও আধুনিক প্রযুক্তির অভাবে গভীর সমুদ্র মাছ ধরা খাত এখনো পরিপূর্ণভাবে বিকশিত হয়নি। তিনি এই খাতে চীনের বিনিয়োগ ও প্রযুক্তিগত সহায়তার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন এবং চামড়া শিল্প, হালকা প্রকৌশল, কৃষি যন্ত্রপাতি, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও ওষুধ শিল্পেও চীনের বিনিয়োগ প্রত্যাশা করেন।
চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্ণ হয়েছে এবং বাণিজ্যিক সম্পর্কও ধারাবাহিকভাবে প্রসারিত হচ্ছে। তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে চীন সরকার বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে, যার সুফল বাংলাদেশের জনগণ পাচ্ছে।
বৈঠকে দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও গভীর হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।
বৈঠকে চীনের প্রতিনিধিদলে ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন বিভাগের মহাপরিচালকগণ। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য সচিব, শিল্প সচিব, কৃষি সচিব এবং বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী ওয়াং ওয়েনতাও ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের একটি প্রতিনিধিদল নিয়ে শনিবার তিন দিনের সফরে ঢাকায় পৌঁছান।