শাকিল আহম্মেদ, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:
পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে ঢাকা থেকে আগত যাত্রীদের ঈদ সালামীর কথা বলে চারগুণ বেশি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ যাত্রীদের।
প্রতিনিয়ত ২৫০-৩০০ টাকা ভাড়া নেওয়া হলেও এখন প্রত্যেকটি টিকিটের জন্য ৮০০-১০০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। আবার পথে পথে তুলছেন যাত্রী, পরিমিত সিটের চাইতেও অধিক যাত্রী তুলছেন বলে অভিযোগ করছেন ভুক্তভোগী যাত্রীরা।
ঢাকা থেকে সিরাজগঞ্জ ফেরা যাত্রীরা বলছেন, পরিবহন সংশ্লিষ্টরা ঈদ বখশিশ আখ্যা দিয়ে কখনো বাস খালি যাবে আসবে এমন নানা অজুহাতে বাড়তি ভাড়া নিচ্ছেন। বাড়তি ভাড়া নিলেও টিকিটে সেটি লেখা হচ্ছে না। ফলে যাত্রীদের কাছে বাড়তি ভাড়ার কোনো প্রমাণ থাকছে না।
শুক্রবার (৬ জুন) দুপুর ৩টার দিকে ঢাকার গাবতলী থেকে সিরাজগঞ্জে ফেরা এক পোশাক শ্রমিক জানান, ভোর ৭টায় বগুড়ার ‘হাসান এক্সপ্রেস’ নামের পরিবহনে রওনা হয়ে যমুনা সেতু পশ্চিম কড্ডার মোড়ে পৌঁছান। ভাড়া হিসেবে তাকে গুণতে হয়েছে ৮০০ টাকা। অথচ স্বাভাবিক সময়ে এই পথে ২৫০ টাকায় যাতায়াত করা যায়।
ঢাকা থেকে ফেরা আরও কয়েকজন যাত্রী একইরকম অভিযোগ করেন। তারা এটিকে এক জুলুম বলে দাবি করেন।
তবে বখশিশের নামে বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ নিয়ে পরিবহন মালিকরা বলছেন, ভ্রাম্যমাণ আদালত মাঠে থাকেন, তাদের অভিযোগ করতে বলেন। তারাই ব্যবস্থা নেবেন।
ঈদের পূর্ব মুহূর্তে যমুনা সেতু পশ্চিম কড্ডা ও হাটিকুমরুল এলাকায় বাড়ি ফেরা যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। ঈদযাত্রায় ঢাকা ছেড়েছেন তারা। তবে যমুনা সেতুর পূর্ব পাড়ে যানজট থাকায় অনেক ভোগান্তি ও দেরিতে গন্তব্যে পৌঁছেছেন।
বাড়তি ভাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে এক বাসচালক জানান, ঈদের সময় তাদের ট্রিপ কমে যায়। আগে যেখানে দিনে চারটি ট্রিপ দিতে পারতেন, এখন সেটা একটায় নেমে এসেছে। এ জন্য ভাড়া কিছুটা বাড়তি রাখা হচ্ছে।
এদিকে যাত্রীদের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সিরাজগঞ্জ মহাসড়কে জেলা ও হাইওয়ে পুলিশ ছাড়াও সেনা সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।
 
								 
								 
								 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
															 
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                        