রবিউল ইসলাম বাবুল, লালমনিরহাট,প্রতিনিধিঃ
লালমনিরহাট জেলায় গত দুই দিন ধরে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ বয়ে চলেছে। এতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। রাস্তাঘাট ফাঁকা, শ্রমজীবী মানুষ কর্মক্ষেত্রে যেতে হিমশিম খাচ্ছেন, আর চিকিৎসা কেন্দ্রে বাড়ছে হিটস্ট্রোক ও পানিশূন্যতায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।
গতকাল (৯ জুন) জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং আজ (১০ জুন) তা সামান্য কমে দাঁড়িয়েছে ৩৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এই দুটি দিনই বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর অঞ্চলটিকে ‘মাঝারি থেকে তীব্র’ তাপপ্রবাহের আওতায় রেখেছে।
লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার একজন স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এমন তীব্র গরম দীর্ঘদিন পর অনুভূত হচ্ছে। অনেকেই জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না।শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলোতে ঈদের ছুটি থাকায় ছাত্রছাত্রীরা এ তিব্র তাপদাহ থেকে রেহাই পাচ্ছে। যদি এমন অবস্থা চলতে থাকে তাহলে ছাত্রছাত্রীদের কথা বিবেচনা করে স্কুলের সময় পরিবর্তন বা মর্নিং স্কুল চালুর ব্যবস্থা করা জরুরী বলে মনে করেন অবিভাবক বৃন্দ।
এদিকে এ অবস্থা ফলে জনমনে নেতিবাচক প্রভাব পরেছে। হঠাৎ তিব্র, গরম ও তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণ বিষেশজ্ঞগন বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে দেশের উত্তরাঞ্চলে এমন তীব্র গরম এখন আরও বেশি অনুভূত হচ্ছে।
লালমনিরহাট স্বাস্থ্য বিভাগের লালমনিরহাট জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ আব্দুল হাকিমের সঙ্গে মুঠোফোন আলোচনা হলে তিনি বলেন,প্রচন্ড গরম, তবে এই গরমে এখনও হিটিস্ট্রোক জনিত কোন রোগী এখনো হাসপাতেলে আসেনি। তিনি নাগরিকদের পর্যাপ্ত পানি পান, সরাসরি রোদ এড়িয়ে চলা এবং শিশু ও বৃদ্ধদের বিশেষ যত্ন নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
এব্যপারে লালমনিরহাট জেলা আবহাওয়াবিদের সঙ্গে মুঠোফোন আলোচনা হলে তিনি দৈনিক আমার বাংলাদেশ সাংবাদিক কে বলেন তাপ প্রবাহ কবে নাগাদ কমবে,সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যায়না, তবে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে বৃষ্টি হলে পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে বলে আশা করছেন আবহাওয়াবিদরা ।
 
								 
								 
								 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
															 
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                        