মোঃ নাঈম ইসলাম, গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি:
পরকিয়ার জেরে নাটোরের গুরুদাসপুরে দুই সন্তানের জননী মামীকে নিয়ে উধাও ভাগ্নে। গত ২৮ মে, স্বামীর ঘর থেকে দুই সন্তানের নামে রাখা ৪ লাখ টাকা ও এক ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে ভাগ্নের হাত ধরে পালিয়ে যায় মামী। গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের পুরুলিয়া গ্রামে ঘটেছে এমন ঘটনা।
এ ঘটনায় বুধবার ( ১১ জুন ) দুপুরে জেসমিন বেগম (২৯) ও মনিরুল ইসলাম (৩০) নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন গৃহবধুর স্বামী শামীম হোসেন (৩৭)। গৃহবধু জেসমিন চাপিলা ইউনিয়নের ধানুড়া মিল্কি গ্রামের কালাম মুন্সির মেয়ে। মনিরুল ইসলাম সম্পর্কে শামীম হোসেনের ভাগ্নে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ বছর পূর্বে আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে হয় শামীম হোসেনের সাথে জেসমিনের। দাম্পত্য জীবনে তাদের ঘরে জন্ম নেয় এক মেয়ে সন্তান মোছা.ফাতেমা খাতুন (১০) ও এক ছেলে সন্তান মো. আবির হাসান ( ৭)। ভালোই কাটতে ছিল তাদের সংসার জীবন। ভাগ্নে মনিরুল ইসলামের প্রেমে পড়েন মামী জেসমিন বেগম। গড়ে উঠে প্রেমের সম্পর্ক। একপর্যায়ে ঘরে দুই সন্তান রেখে মনিরুল ইসলামের হাত ধরে পালিয়ে যায় গৃহবধু। গৃহবধুকে হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন স্বামী। খোঁজাখুজির পর সেই গৃহবধুর সন্ধ্যান মেলে ঢাকায়। সেখান থেকে গৃহবধুর বাবা তাঁকে নিজ বাড়ীতে নিয়ে আসেন। বিষয়টি জানালে সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে গৃহবধুকে ফিরে আনতে শ্বশুড় বাড়ীতে যান স্বামী। বাড়ী আসতে রাজী হয়ে কৌশলে সেখান থেকে পুনরায় মনিরুলের হাত ধরে অজ্ঞাত স্থানে চলে যায় সেই গৃহবধু। বর্তমানে সর্বস্ব হারিয়ে গৃহবধুর স্বামী শামীম হোসেন দুই সন্তান নিয়ে পড়েছেন বিপাকে।
দিশেহারা স্বামী শামীম হোসেন বলেন, সন্তানের জন্য রাখা ৪ লাখ টাকা ফেরত ও অভিযুক্ত জেসমিন এবং মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ন্যায় বিচার চেয়েছেন। সত্যতা স্বীকার করে ভাগ্নে মনিরুল ইসলাম মেঠোফোনে বলেন, ইতিমধ্যে শামীম হোসেনের সাথে জেসমিনের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে গেছে। আমরা অল্পদিনেই বিয়ে করতে চলেছি।
গুরুদাসপুর থানার এস আই হান্নান মুঠোফোনে বলেন, এ সংক্রান্ত একটা অভিযোগ পাওয়া গেছে। অচিরে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।