রবিউল ইসলাম বাবুল, লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ
লালমনিরহাট আদিতমারী উপজেলার পলাশী ইউনিয়নের দাসপাড়া মাঝিটাড়ী এলাকায় একটি সেতুতে সৃষ্ট বড় আকারের গর্তের কারণে চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে স্থানীয় জনগণ।
মহিষখোঁচা থেকে পলাশী গামী বাইপাস সংযোগ সড়কে অবস্থিত এই ব্রীজটি।সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন শতাধিক মোটর সাইকেল, রিকশা ও অন্যান্য যানবাহন চলাচল করে,সেতুর মাঝখানে বড় একটি গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় দিনে কোনওমতে আর রাতে-তো চলাচল করা বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে।
এদিকে রাতের আধাঁরে যানবাহন চলাচলের ঝুঁকি এড়ানোর জন্য নেই কোন পর্যাপ্ত সতর্কতামূলক চিহ্ন, কিংবা কোনও প্রতিবন্ধক না থাকায় যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
ঐএলাকার স্থানীয় বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, “প্রতিদিন স্কুলছাত্র,ছাত্রী কৃষক দিনমজুর রিক্সা ভ্যান,মটোর বাইক,মিনি বাস,কার,রোগীবাহী যানবাহন এই সেতুটি ব্যবহার করে পূর্বে মহিষখোঁচা হয়ে আদিতমারী ও পশ্চিমে পলাশী বাজার চলাচল করে। আমরা অনেকবার ইউনিয়ন পরিষদ,সহ-উপজেলা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি,কিন্তু এখনো কোনো ব্যবস্থা নেননি তারা,ফলে যেকোনও মুহুর্তে বড় ধরণের দুর্ঘটনায় প্রাণ নাশের মত ঘটনা ঘটতে যেতে পারে।
অন্যদিকে,এক রিকশাচালক জানান, “আমরা জীবন হাতে নিয়ে চলাচল করি। ভাঙা অংশে রাতে দুর্ঘটনা ঘটলে কেউ হয়তো জানতে পারবেও না।যে এখানে রিক্সা সহ-নীচে মরে পরে আছি।
আদিতমারী উপজেলার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ না ঘটলে এটি একটি প্রাণঘাতী দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয় সচেতন নাগরিকরা।তাদের দাবি, অবিলম্বে সেতুটির জরুরি সংস্কার এবং বিকল্প সড়কের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হোক। একই সাথে সেতুর ভাঙা অংশে যথাযথ ব্যারিকেড ও সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড স্থাপন করে এলাকার মানুষ ও পথচারীদের নিরাপদে চলাচলের জন্য ব্যবস্থা করণ জরুরী অত্যাবশ্যক।
এদিকে আদিতমারী উপজেলা এল,জি,ডি”র আওয়তায় ২০২৪/২৫ অর্থ বছরের এ,ডি,বির বিভিন্ন খাতে চলমান কাজ যেমন,টি,আর,কাবিটা কাবিখা ব্রীজ কালভার্ট ইউড্রেন,স্কুল কলেজ নির্মান,পাকা রাস্তা সংস্কার,রাস্তা পাকা করণ প্রকল্পে নিয়ে নানা মহলে সংশয় দেখা দিয়েছে।কাজের মান খুবি নিম্নমানের দেখার কেউ নেই এটা যেন মগেরমুলুক !
আদিতমারী উপজেলার এই প্রকল্পগুলর সাথে জড়িত সংশ্নিষ্ট কর্তাব্যক্তিরদের তদরকিতে গাফিলতি থাকায় জনমনে নেতিবাচক মনোভাব সহ-সূধীমহলে ব্যপক গুনঞ্জন উঠেছে। তারা মনে করছেন দ্রুত এমন অবস্থা থেকে বেড়িয়ে এসে কাজের গুনগতমান নিশ্চিত করণ একান্ত জরুরী হয়ে পড়েছে।
এলাকার সাধারণ মানুষ বলছেন,বর্তমান এসকল কাজের তদারকি করতে তেমন কাউকে দেখা যায়না। ঠিকাদারগন তাদের ইচ্ছে মত কাজ করে যাচ্ছেন।
ফলে কাজের গুনগত মান ভালো হচ্ছে না।আদিতমারী উপজেলা সহ-লালমনিরহাট জেলার প্রত্যেকটি উপজেলাতেই একই অবস্থা বিরাজমান।
এমন ঘটনায় সুশীল সমাজের অনেকেই অভিমত ব্যক্ত করে বলেন,কাজের মান যাতে ভালো হয় সে ক্ষেত্রে অর্পিত দায়িত্বরত কর্তাব্যক্তিদের যথাসময়ে তদারকি জোরদার করে কাজের মান নিশ্চিত করণ একান্ত জরুরী হয়ে পরেছে। না- হলে মুখথুবড়ে পড়বে আদিতমারী সহ- গোটা লালমনিরহাট জেলার উন্নয়ণ।
জেলার গ্রামীন জনগোষ্ঠীর মান-উন্নায়ন এর লক্ষে টি,আর,কাবিটা- কাবিখা- প্রক্লপের আওতায জেলায় যে সকল কাজ হচ্ছে তা ক্ষতিয়ে দেখলে আসল তথ্য উদঘটন হবে বলে মনে করেন সূশীল সমাজ। লালমনিরহাট জেলার সংশ্লীষ্ট দপ্তরকে দ্রুত কাজের মান পরিদর্শন এর মাধ্যমে গ্রামীন রাস্ত-ঘাট,ব্রীজ,কালভার্ট রাস্তা-
পাকারাস্তা,ক্যানেল,ইউড্রে,রাস্তা পাকা করণ,আশ্রয়ণ প্রকল্প, সহ- সকল কাজের মান উন্নযন সম্ভব। তা- না হলে নাম মাত্র কাজ দেখিয়ে বিল উত্তোলন করে ফ্যাসীবাদিদের মত লুটপাটের মধ্যে দিয়ে দেশে অস্বাভাবিক অবস্থার সৃষ্টি করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে দেশের সম্পদ লুট করবে বলে মনে করেন ভুক্তভোগী গন।
এ ব্যপারে আদিতমারী উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার ফজলুল হকের সাথে মুঠো ফোনে আলোচনা হলে তিনি বলেন বিষয়গুলি জরুরী ভিত্ততিতে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
সৃষ্ট ঘটনায় আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিধান কান্তি হালদার এর সঙ্গে আলোচনার জন্য মুঠো ৪ বার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিব করেন নি।