মোঃ শেখ সাদী, শেরপুর প্রতিনিধি:
২০১২ সালে শেরপুরে ডিবি হেফাজতে জেলা কৃষক দলের সহ সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিকী বাচ্চু ( মেকার) মৃত্যুর ঘটনায় সাবেক পুলিশ সুপার,সাবেক সহকারী পুলিশ সুপার, সাবেক ডিবি ওসি সহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে শেরপুর সদর আমলী আদালতে মামলা করা হয়েছে। শেরপুর আদালতে মামলাটি করেন নিহতের ছেলে মোকারুল ইসলাম মহন।
১৭ই জুন মঙ্গলবার দুপুরে শুনানি শেষে শেরপুর সদর আমলী আদালতের বিচারক সুলতান মাহমুদ মিলন মামলাটি পিবিআই পুলিশ সুপার জামালপুর কে তদন্তের জন্য আদেশ দেন।
আসামীরা হলেন, মোঃ আনিছুর রহমান সাবেক পুলিশ সুপার, শেরপুর, মোঃ মহিবুল ইসলাম খান সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, শেরপুর, মোঃ নজরুল ইসলাম সাবেক অফিসার ইনচার্জ, গোয়েন্দা সংস্থা (ডি.বি) শেরপুর, মোঃ জহুরুল ইসলাম সাবেক সেকেন্ড অফিসার, গোয়েন্দা সংস্থা (ডি.বি), শেরপুর, মোঃ নজরুল ইসলাম , সাবেক এস, আই, পুলিশ ফাঁরি, শেরপুর, মোঃ রিয়াদ হোসেন সাবেক এস,আই, গোয়েন্দা সংস্থা (ডি.বি), শেরপুর,মোঃ আতিউর রহমান আতিক সাবেক এম.পি ও হুইপ শেরপুর-১, ফাতেমাতুজহুরা (শ্যামলী) , সাবেক এম.পি. ও মহিলা আওয়ামীলীগ সভাপতি, শেরপুর জেলা, মোঃ আরিফ রেজা, মোঃ শুভ রেজা, মোঃ আনোয়ারুল হাসান উৎপল, শ্রী চন্দ্রন সাহা, ১৩। তরিকুল ইসলাম রাজু সদস্য, শেরপুর জেলা যুবলীগ, আমিরুল ইসলাম, শরিফুল রহমান শরিফ, মোহাম্মদ আলী, মোঃ শহিদুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম, মোঃ আঃ আলিম, মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, আষীষ কুমার সুর, মাসুদ রানা, বেলাল হোসেন, মোঃ সাইদুল ইসলাম (সাইদ), মাহবুবা রহমান (শিমু), মনিরুজ্জামান মিলন তালুকদার, মোঃ আব্দুল হামিদ, শামীম আরা বেগম, হাজী মোশারফ, চানু মিয়া, সেতু দও, সহ আরও অনেকে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, তৎকালীন পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান ও সাবেক এমপি আতিউর রহমান আতিক এর নির্দেশে তৎকালীন ডিবি ওসি ও কয়েকজন কনস্টেবল সহ গত ২০১২ সালের ৩ ডিসেম্বর সোমবার রাত ১১:৩০ মিনিটে শহরের সজবরখিলা মহল্লার তার নিজ বাড়ী থেকে আবু বক্কর সিদ্দিকী বাচ্চুকে ডিবি অফিসে নিয়া যাওয়া হয়। ৪ ডিসেম্বর রাত ২:৩০ মিনিটের সময় আবু সিদ্দিকী বাচ্চুর নিথর দেহটি তার বাড়িতে রেখে যায় পুলিশ।
পরিবারের অভিযোগ, আবু বক্কর সিদ্দিকী বাচ্চু ডিস ক্যাবলের ব্যবসা ও পাশাপাশি বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন। তার নামে পূর্বে কোন মামলা ছিল না। তাকে আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ও পুলিশ প্রশাসনের লোকজন পূর্বপরিকল্পিতভাবে ডিবি হেফাজতে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে। আমরা মাননীয় সরকারের কাছে এই হত্যায় জড়িত আসামীদের কঠিন শাস্তির দাবি করছি।
নিহতের ছেলে মোকারুল ইসলাম মোহন সাংবাদিকদের বলেন, বাবাকে হত্যা করার পর পুলিশ পাহারায় জানাজা এবং দাফন সম্পন্ন করা হয়। আমরা মামলা করতে পারি নাই। মামলা না করার জন্য পুলিশ সব সময় আমাদেরকে ভয়ভীতি দেখাতো এবং আমাদের তিন ভাইকে বিভিন্ন মামলায় দিয়ে হয়রানী করেছে।আমি আমার বাবার হত্যার বিচার চাই।
বাদী পক্ষের আইনজীবি আব্দুল আজিজ সজীব রানা বলেন, এই ঘটনায় নিহতের ছেলে মোহন বাদী হয়ে সাবেক পুলিশ সুপার, সহকারি পুলিশ সুপার এবং ডিবি ওসি ও কয়েকজন কনস্টেবল সহ ৩৪ জনের নাম উল্লেখ করে আাদালতে একটি মামলা করেছেন। সিআর আমলী আদালত সদর মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআই জামালপুর পুলিশ সুপারেক তদন্তবার দেওয়া হয়েছে।
 
								 
								 
								 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
															 
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                        