মোঃ জাহিদুল হাসান, সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:
সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলা সাহাপুর গ্রামে হ্যাচারি সহ আঞ্চলিক হাঁস প্রজন্ম খামারে সিনিয়র সহকারী পরিচালক, সায়লা পারভিন এর বিরুদ্ধে উঠে এসেছে অনিয়মের অভিযোগ।
জানা যায়,সরকারি বিধি মোতাবেক মেসার্স তায়িম এন্টারপ্রাইজের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয় ৩০ শে জুন ২০২৫ইং পর্যন্ত ইয়াং গ্রুপের মাধ্যমে।
কিন্তু সরকারি নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে শায়লা পারভিন নিজে বিভিন্ন রকমের ফিড/পশু খাদ্য হ্যাচারিতে ব্যবহার করে আসছেন অনেকদিন ধরে। কিন্তু সেখানে শুধুমাত্র ব্যবহার করার কথা ছিল তায়িম এন্টারপ্রাইজের ইয়াং ফিড।
“সরাজমিনে গিয়ে ১৬ জন ২০২৫ ইং এ গ্লোবাল ফিট ও ইয়াং ফিড মজুদ করা অবস্থায় গুদামে পাওয়া যায়”
অনুসন্ধানে জানা যায়,২০১৩ সালে ২১ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে অবকাঠামোসহ পাঁচ বছর মেয়াদী প্রকল্পটি সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি উপজেলার সাহাপুর গ্রামে ৩ একর জমির উপর নির্মাণ করে সেটি সচল করা হয়েছে-সেখানে রয়েছে বিশাল আয়তনের ৬টি হাঁসের সেট একটি হ্যাচারি বুডার সেড, জেনারেটর রুম, উন্নত মানের আবাসিক ভবন, বিশাল গুদামঘর, অফিস কক্ষ, ও ডরমেটরি সহ ৬ হাজার হাস পালানোর ব্যবস্থা। সেই সাথে রয়েছে ডিম থেকে বাচ্চা ফুটানোর যন্ত্র (ইনকিউবেটর) যার মাধ্যমে প্রায় ২৮ হাজার ৮শ ডিম ঢুকানোর ব্যবস্থা,প্রকল্পটিতে ৬জন কর্মকর্তা থাকলেও তার চারজনি রয়েছে আউটসোর্সিংয়ে।
এ বিষয়ে,সিনিয়র সহকারী পরিচালক, সায়লা পারভীন বলেন, এখানে সরকারি কোন বিধি-নিষেধ মানা সম্ভব হয় না। কারণ সরকার যে মূল্য নির্ধারণ করে দেন সেটি আমাদের পক্ষে মানা সম্ভব হয় না তাই পরিবেশের সাথে মিল দেখে বাহির থেকে ফিড/পশু খাদ্য সংগ্রহ করে থাকি।
এ বিষয়ে পরিচালক (উৎপাদন) প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর (ঢাকা) এবিএম খালেকজ্জামান বলেন,কোন কারনে যদি ফিট চেঞ্জ করতে হয় সেক্ষেত্রে এসটিডির শর্ত প্রতিপালন সাপেক্ষে আমাদের হোপের অনুমোদন নিয়ে এটা উনি করতে পারেন, আর যদি এ সকল শর্ত না মেনে ফিট চেঞ্জ করে থাকেন সেক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় বিধি মোতাবেক আমরা ব্যবস্থা নেব।