আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইরান ও ইসরাইলের মধ্যকার সাম্প্রতিক সংঘর্ষ শেষে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা এসেছে ইরানের একাধিক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ও রাষ্ট্রীয় সংস্থার পক্ষ থেকে। এমনকি প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানও এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে সবচেয়ে প্রভাবশালী ও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তদাতা হিসেবে পরিচিত ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি এখনো যুদ্ধবিরতি বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেননি।
জাতীয় নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্র নীতিতে খামেনির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হিসেবে বিবেচিত হয়, তাই দেশের ভেতরে-বাইরে এখন নজর রয়েছে—তিনি কবে এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাবেন। তাঁর নীরবতা ঘিরে জল্পনা-কল্পনা বেড়েই চলছে।
খবরে বলা হচ্ছে, সাম্প্রতিক ইসরাইলি হামলার পর তিনি রাজধানী তেহরানের নিজস্ব বাসভবন ছেড়ে একটি নিরাপদ বাঙ্কারে আশ্রয় নিয়েছেন। যদিও এ নিয়ে ইরানি কর্তৃপক্ষ এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি।
খামেনির সর্বশেষ জনসম্মুখে আসা রেকর্ডকৃত ভিডিও প্রকাশিত হয়েছিল ১৮ জুন, যেখানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের “নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ” প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। তবে সেটিও ছিল পূর্বে ধারণ করা বক্তব্য।
তার অফিসিয়াল এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টগুলো ১৩ জুনের হামলার আগপর্যন্ত সক্রিয় থাকলেও, হামলার পর থেকে সেখানে কোনো নতুন বার্তা আসেনি। সর্বশেষ জনসম্মুখে তাঁর উপস্থিতির চিত্র পাওয়া গেছে ১১ জুন, পার্লামেন্ট সদস্যদের সঙ্গে এক বৈঠকে।
এই দীর্ঘ নীরবতা ইরানের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বাস্তবতা এবং ভবিষ্যৎ কৌশল নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ ও কৌতূহলের জন্ম দিচ্ছে। এখন প্রশ্ন উঠছে, খামেনি কি শিগগিরই সামনে এসে নিজের অবস্থান জানাবেন, নাকি আরও কিছুদিন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবেন।