সৈয়দ মাকসুমুল হক চৌধুরী সিয়াম, মোহনগঞ্জ, (নেত্রকোণা) প্রতিনিধি:
নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ থেকে এক মাদ্রাসাশিক্ষার্থীকে অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবি করার অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেচে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে দুজনকে নেত্রকোনা আদালতে পাঠানো হয়। গত রোববার সন্ধ্যায় ময়মনসিংহের সম্ভুগঞ্জ এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
মোহনগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। অভিযুক্ত দুজন হলেন ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার মধুপুর গ্রামের নাঈম ইসলাম (২৩) ও মো: ওলিউল্লাহ (৩৫)।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম মো. রিফাতুল হাসান (১৩)। সে মোহনগঞ্জের তেঁতুলিয়া গ্রামের মো. সোহেল মিয়ার ছেলে। সে মোহনগঞ্জ শহরের একটি মাদ্রাসার ছাত্র।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, রিফাতুল ১৭ জুন ট্রেনে করে মোহনগঞ্জ থেকে ময়মনসিংহ স্টেশনে গিয়ে নামার পর ওই দুজন তাকে অপহরণ করেন। ২০ জুন পরিবারের কাছে ফোন করে জানান, রিফাতুল তাঁদের কাছে রয়েছে এবং ৫ হাজার টাকা ‘খরচ’ দিয়ে সম্ভুগঞ্জ সেতুর কাছ থেকে তাকে নিয়ে যেতে হবে। পরদিন রিফাতুলের মা-বাবা গিয়ে টাকা দিয়ে ছেলেকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসেন।
অভিযুক্ত নাঈম ও ওলিউল্লাহ পরে ২৫ জুন মোহনগঞ্জ শহর থেকে পুনরায় রিফাতুলকে অপহরণ করেন। মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে তাকে জোর করে মাইক্রোবাসে তুলে অজ্ঞান করে ময়মনসিংহে নিয়ে যান। ওই দিন রাতে রিফাতুলের মাকে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি ফোন করে জানায়, তাঁর ছেলেকে ফিরে পেতে হলে ৯ লাখ টাকা দিতে হবে। কয়েক দফা কথা বলার পর ঠিক হয়, ২৯ জুন বিকেলে সম্ভুগঞ্জ সেতুর ওপর টাকা নিয়ে যেতে হবে।
রিফাতুলের মা-বাবা বিষয়টি ময়মনসিংহ র্যাবকে জানালে বাহিনীর সদস্যরা কৌশলে দুই অপহরণকারীকে আটক করে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি থানায় হস্তান্তর করেন। সেই সঙ্গে অপহৃত রিফাতুলকে উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় রিফাতুলের মা শিল্পী আক্তার বাদী হয়ে মোহনগঞ্জ থানায় দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়।