মোঃ ফাহিম, পবিপ্রবি প্রতিনিধি:
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) বরিশাল ক্যাম্পাসে মেইন গেট না থাকায় শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়ত নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে দিন পার করছেন। সন্ধ্যা নামতেই বাইরের পথচারী ও বখাটে শ্রেণির লোকদের অবাধ চলাফেরা শুরু হয় ক্যাম্পাস এলাকায়। কে আসছে, কে যাচ্ছে—তা নজরদারির মতো কোনো সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা নেই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বরিশাল ক্যাম্পাসে প্রায় ৬০০ শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছেন। রয়েছে দুটি আবাসিক হল, যেখানে ছেলে ও মেয়ে শিক্ষার্থীরা অবস্থান করছেন। অথচ, একটি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেখানে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মেইন গেট থাকা অপরিহার্য, সেখানে দীর্ঘদিন ধরে এই মৌলিক কাঠামোর অভাব শিক্ষার্থীদের মাঝে হতাশা ও ক্ষোভ সৃষ্টি করছে।
যদিও শিক্ষার্থীরা একাধিকবার মেইন গেট নির্মাণের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অবহিত করেছেন, তবুও প্রায় ১০ মাস পেরিয়ে গেলেও দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। দাবি যেন হারিয়ে যাচ্ছে ফাইলচাপা আর আশ্বাসের জটলায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিভিএম ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী মো: সাইমুন হাসান বলেন,”দীর্ঘদিন ধরে প্রধান ফটক বিহীন আমাদের প্রাণের বরিশাল ক্যাম্পাস।ক্যাম্পাসে গভীর রাত পর্যন্ত অবাধ বিচরণ চলে স্থানীয়দের। প্রায়শই রাতে মাদকসেবনরত অবস্থায় বহিরাগতদের দেখা যায়। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা আমার সহপাঠীরা এরূপ নিরাপত্তাহীনতা নিয়ে চিন্তিত।প্রসাশনের কাছে আমাদের দাবি থাকবে দ্রুত সময়ে একটি নান্দনিক সৌন্দর্য বর্ধনকারী মূল ফটকের কাজ যেন শুরু করা হয়।”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. ইকতিয়ার উদ্দিন বলেন,”আমাদের ভিসি স্যার বরিশাল ক্যাম্পাসের উন্নয়নের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন। ক্যাম্পাসের গেটের জন্য যাবতীয় যা কেনাকাটার আছে, সেগুলোর ব্যাবস্থা করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে এসব সমস্যার সমাধান করা হবে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন ,”বরিশাল ক্যাম্পাসের মেইন গেটের ডিজাইন করা হয়েছে এবং টেন্ডারও দেওয়া হয়েছে।আশা করি খুব দ্রুতই কাজ শুরু হবে।
পাশাপাশি বাবুগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের অর্থায়নে মেইন গেটের দুপাশে ১৪০ ফিট বাউন্ডারি দেওয়া হবে।এর জন্যেও টেন্ডার হয়েছে,দ্রুতই কাজ শুরু হবে।”
উল্লেখ্য, বাস চলাচলের সুবিধার জন্যে ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক ভেঙ্গে ফেলা হয়।