জাকির হোসেন হাওলাদার, দুমকি (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:
জুলাই ২৪ বিপ্লবে গাড়ি চালক শহিদ জশিম হাওলাদারের পটুয়াখালী জেলার দুমকি উপজেলার পাংগাশিয়া ইউনিয়নে সরোজমিনে গিয়ে খোজ নিয়ে জানা যায়, শোকাহত স্ত্রী রুমা বেগম এক কন্য ও এক পুত্রের এখন কেউ খোজ খবর নেয় না।
দুমকির পাংগাশিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের রাজগঞ্জ গ্রামে শহিদ জশিমের বাড়িতে গিয়ে শহীদ জসিম ও আত্মহত্যায় মৃত্যু মেয়ে লামিয়ার কবর দেখা যায়।। জানা যায় স্ত্রী, পুত্র ও কন্যা ওখানে নেই। পরে খোজ নিয়ে জশিমের শশুর বাড়ি একই ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের আলগী গ্রামে বিশ্বাস বাড়ীতে গিয়ে শহিদ জশিমের শ্বাশুরী জানান জুলাই বিপ্লব ২৪ শহিদ হওয়া জশিমের স্ত্রী, পুত্র ও কন্যা বারার বাড়ী থেকে ভাইয়ের বাসায় ঢাকার মোহাম্মদপুরে শেখের টেক ৬ নম্বর রোড বি / ৭০ নম্বর বাড়ি ভাড়া থাকে।
এখন রুমা বেগম অসুস্থ, জশিমের শাশুরি খাদিজা বেগম(৬০) জানান শহিদ জশিমের কন্যা লামিয়া এইচএসসি তে অধ্যায়নরত ছিল ধর্ষন হলো। ধর্ষন মামলায় ৩ আসামি জেলে আছেন। এবং গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করল, কোন জায়গা জমি নেই আয় উপার্জনের কেউ নেই, কিভাবে চলবে শহিদ জশিমের পরিবার? তাদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তায় আছে।
এখন স্বামী এবং মেয়েকে হারিয়ে সর্ব শান্ত স্ত্রীর ভাইয়ের বাসায় দুই সন্তান তানজিম(২) ও রিয়ামনি (১১) কে নিয়ে মানবতার জীবন যাপন করছে। দুমকি থানার অফিসার ইনচার্জ জাকির হোসেন জানান, জুলাই চব্বিশ শহীদ হওয়া জসিমের স্ত্রী রুমা বেগম ও এক কন্যা এক পুত্র তারা বাবার বাড়িও থাকেন ঢাকায় থাকেন ভালো আছেন মেয়ে লামিয়া ধর্ষণ মামলায় ৩ আসামি জেলে আছেন।