মোঃ বাদশা প্রামানিক নীলফামারী প্রতিনিধিঃ
ডিমলা সদর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তর বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননা সহ ভূমি মালিকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের ব্যাপক অনিয়মে অভিযোগ উঠেছে ।
জানা গেছে, নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার সদর ইউনিয়নের ভূমি সহকারি কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান আসাদ ডিমলা সদর ইউনিয়নের ভূমি অফিসের দায়িত্ব নেয়ার পর হতে সাধারণ কৃষকদের হয়রানি করে আসছেন । তিনি নিয়মিত অফিসে উপস্থিত থাকেন না। খাজনা দেয়ার জন্য ভূমি মালিকরা অফিসে গেলে তিনি অতিরিক্ত ৩ গুণ হতে ৪ গুন অর্থ আদায় করে থাকেন ।
এ ব্যাপারে একাধিক অভিযোগ করেও কোন প্রকার সুফল পাননি ভুক্তভোগীরা । রামডাঙ্গা গ্রামের বিধবা খোদেজা বেগম জানান, ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান আসাদ প্রায় অফিসে অনুপস্থিত থাকেন। সপ্তাহে দুই ৩ দিন অফিসে উপস্থিত থাকলেও খাজনা আদায়ের বেলায় মূল খাজনার ৪-৫ গুণ অর্থ দাবি করে বসেন। অনেক দেন দরবার করার পর খাজনা আদায় রশিদে উল্লেখিত অর্থের তিন হতে চার গুণ অর্থ আদায় করে থাকেন। এ ছাড়াও তিনি নিয়মিত অফিসে না আসার কারনে অফিস সময়ে পতাকা উত্তোলন করা হয় না।
তাছাড়া খারিজের প্রস্তাব পাঠানোর সময় খারিজের প্রস্তাব প্রতি ১ হতে দুই হাজার টাকা খরচা বাবদ নিয়ে থাকেন। গত বৃহস্পতিবার সাড়ে ১২ টায় উক্ত অফিস কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় অফিসে তালা লাগানো এবং জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়নি। এলাকাবাসী জানান, ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান আসাদ সপ্তাহে ৩ হতে ৪ দিন অফিস করেন। বাকি দিনগুলো তিনি অফিসে না আসার কারণে জাতীয় পতাকাও উত্তোলন করা হয় না।মৌজার যেদিন তিনি অফিসে আসেন সেদিন তিনি রাত ১১ পর্যন্ত অফিস খোলা রাখেন।
অত্র অফিসের পার্শ্ববর্তী লোকজন জানান, ভুমি সহকারী কর্মকর্তা এতই বেপরোয়া যে ভূমি মালিকদের সাথে প্রায় সময় অর্থ নিয়ে বাক বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন । ডিমলা মৌজার সিরাজুল ইসলাম জানান,তিনি গত ৩ দিন অফিসে এসেও ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (তহশীলদার)-এর দেখা পাননি। একই অভিযোগ ডিমলা সদর ইউনিয়নের ডিমলা গ্রামের রহিম খানের ছেলে লিটন খানের। ভূমি মালিকদের দাবি ডিমলা সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে একজন দায়িত্ববান ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা দেয়া হোক যাতে ভূমি মালিকগন হয়রানির শিকার না হন।
অভিযুক্ত অত্র অফিসের ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান আসাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,খাজনা আদায়ের ক্ষেত্রে রশিদের বাইরে অর্থ নেয়ার কোন সুযোগ নেই । নিয়মিত জাতীয় পতাকা উত্তোলন না করার বিষয়ে তিনি জানান, অফিস সহায়ক ছুটিতে থাকায় এটা হয়েছে । এ ব্যাপারে সহকারি কমিশনার (ভূমি) শাহানাজ পারভীন এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ভূমি মালিকগণ যেন হয়রানীর শিকার না হন সে বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এবং জাতীয় পতাকা সময়মতো উত্তোলন না করার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।