আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাটজ গাজার সমগ্র জনগণকে রাফাহ শহরের ধ্বংসস্তূপে নির্মিতব্য একটি ‘মানবিক শহরে’ স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন। বুধবার (৯ জুলাই) দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে জানানো হয়, প্রথম ধাপে আল-মাওয়াসি এলাকা থেকে বাস্তুচ্যুত ৬ লাখ ফিলিস্তিনিকে এই শিবিরে স্থানান্তর করা হবে, পরবর্তীতে গাজার মোট ২১ লাখ বাসিন্দাকে সেখানে সরিয়ে নেওয়া হবে।
কাটজ জানান, শিবিরে প্রবেশের আগে প্রতিটি ফিলিস্তিনিকে নিরাপত্তা স্ক্যানিংয়ের মাধ্যমে হামাস সদস্য কিনা তা যাচাই করা হবে। শিবিরে প্রবেশের পর তাদের বের হওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না বলে স্পষ্ট করেন তিনি। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য ইসরাইলি সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।
ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু যুক্তরাষ্ট্র সফরে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে বৈঠকে ফিলিস্তিনিদের জন্য তৃতীয় দেশে পুনর্বাসনের প্রস্তাবকে সমর্থন জানিয়েছেন। ট্রাম্প ২০১৭ সালে প্রথম এই ধারণা দিয়েছিলেন। নেতানিয়াহু জানান, ফিলিস্তিনিদের জন্য ‘উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ’ নিশ্চিত করতে ইতিবাচক সাড়া দিতে ইচ্ছুক কয়েকটি দেশের সাথে আলোচনা চলছে।
জাতিসংঘ পূর্বেই সতর্ক করেছে যে আন্তর্জাতিক আইনে দখলকৃত ভূখণ্ডের বাসিন্দাদের জোরপূর্বক স্থানান্তর নিষিদ্ধ। ইসরাইল-হামাসের মধ্যে চলমান ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি আলোচনার সময়েই শিবির নির্মাণ শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বা হামাস এখনো এই পরিকল্পনা সম্পর্কে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই পদক্ষেপ গাজার মানবিক সংকটকে আরও গভীর করবে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের তীব্র প্রতিক্রিয়া ডেকে আনতে পারে।