নিজস্ব প্রতিনিধি:
পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ (সোহাগ) হত্যা মামলার প্রধান আসামি মাহমুদুল হাসান মহিন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুর রহমানের আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় তার এই জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।
আদালত সূত্রে জানা যায়, রিমান্ড শেষে মহিনকে আদালতে হাজির করা হলে তিনি স্বেচ্ছায় দায় স্বীকার করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও কোতোয়ালি থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তার জবানবন্দি গ্রহণ করেন। এরপর তাকে কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন আদালত।
এর আগে গত ১০ জুলাই প্রথম দফায় পাঁচ দিন এবং ১৫ জুলাই দ্বিতীয় দফায় আরও পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন আদালত। এ মামলায় বর্তমানে গ্রেফতারকৃত ৯ আসামির মধ্যে মহিন চতুর্থ ব্যক্তি যিনি দায় স্বীকার করেছেন। গত ১৭ জুলাই আসামি মনির ওরফে লম্বা মনির, মো. আলমগীর ও টিটন গাজী এবং ১৯ জুলাই সজীব ব্যাপারী স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
গত ৯ জুলাই স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গেটের কাছে সোহাগকে কুপিয়ে, পিটিয়ে এবং পাথর দিয়ে মাথা থেতলে হত্যা করা হয়। নিহত সোহাগ কেরানীগঞ্জের পূর্ব নামাবাড়ি গ্রামের ইউসুফ আলী হাওলাদারের ছেলে ছিলেন এবং দীর্ঘদিন ধরে পুরান ঢাকার রানী ঘোষ লেনে ভাঙারির ব্যবসার সাথে যুক্ত ছিলেন। ঘটনায় নিহতের বড় বোন কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করলে পুলিশ পৃথকভাবে অস্ত্র মামলা রুজু করে।
বর্তমানে আসামি রাজিব ব্যাপারী কারাগারে আটক রয়েছেন বলে জানা গেছে। আদালতের পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য মামলার সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র তদন্ত কর্মকর্তার কাছে ফেরত দেওয়া হয়েছে।