নিজস্ব প্রতিনিধি:
বিশ্বব্যাপী এক হাজারেরও বেশি ইহুদি রাব্বি ইসরাইলকে গাজায় ‘অনাহারকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার’ করার তীব্র অভিযোগ এনেছেন এবং অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি অঞ্চলে জরুরি মানবিক সহায়তা প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার জোরালো দাবি জানিয়েছেন। শুক্রবার প্রকাশিত এক খোলা চিঠিতে তারা এই আহ্বান জানান, যা সোমবারের মধ্যে ব্যাপক সমর্থন পেয়ে স্বাক্ষরকারীর সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে।
ইউএনআরডব্লিউএর প্রধান ফিলিপ লাজারিনির বরাত দিয়ে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ইসরাইলি অবরোধের কারণে সৃষ্ট এই মানবসৃষ্ট সংকটে গাজায় প্রায় ৯০ হাজার নারী ও শিশু তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে। রাব্বিরা তাদের বিবৃতিতে সতর্ক করে দিয়েছেন যে, “খাদ্য, পানি ও চিকিৎসাসামগ্রী সরবরাহে বাধা দেওয়া ইহুদি ধর্মের মৌলিক নৈতিক মূল্যবোধের সাথে সরাসরি সাংঘর্ষিক।”
যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নভিত্তিক এই ধর্মীয় নেতারা ইসরাইল সরকারের প্রতি জরুরি তিনটি দাবি উপস্থাপন করেছেন: নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ব্যাপক মানবিক সহায়তা প্রবেশের অনুমতি দেওয়া, সকল বন্দিকে দ্রুত মুক্ত করা এবং যুদ্ধ অবসানের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া।
যুক্তরাজ্যের প্রখ্যাত রাব্বি জোনাথন উইটেনবার্গ জিউশ ক্রনিকলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “ইহুদি ধর্মের নৈতিক আদর্শ রক্ষায় আমাদের এই অবস্থান অপরিহার্য।” তিনি আরও যোগ করেন, গাজার বেসামরিক জনগণের দুর্ভোগ ইহুদি সম্প্রদায়ের বিবেককে নাড়া দিয়েছে।
এই অভূতপূর্ব সম্মিলিত বিবৃতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে ইসরাইলের ক্রমবর্ধমান কূটনৈতিক বিচ্ছিন্নতা এবং ইহুদি সম্প্রদায়ের অভ্যন্তরেই যুদ্ধবিরোধী অবস্থানের ক্রমবিকাশকে স্পষ্টভাবে নির্দেশ করছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই চিঠি ইসরাইলি নীতির বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী ইহুদি সম্প্রদায়ের মধ্যে ক্রমবর্ধমান অসন্তোষেরই প্রতিফলন।