মোহাইমিনুল হাসান, ক্যাম্পাস প্রতিনিধি:
সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের মেডিকেল সেন্টারের সেবার মান নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে। অভিযোগ উঠেছে,মেডিকেল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসার নামে কেবলমাত্র ‘নাপা’ ও অন্যান্য ওষুধ দেওয়া হয়,যার বাইরে কোনো প্রকার ওষুধ বা চিকিৎসা সুবিধা নেই।
এ বিষয়ে কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী গৌরব দেবনাথ বলেন,
“মেডিকেল সেন্টারে গেলে ওষুধের নাম শুনলেই মনে হয় যেন আমরা ক্লাস ফাইভে পড়ি! সব সমস্যার সমাধান নাকি নাপা আর পলিজন! মাথা ধরলে নাপা, জ্বর হলে নাপা, আবার পা মচকে গেলে পলিজন! এটা কী ধরনের চিকিৎসা?”
অন্যদিকে কলেজ প্রশাসনের পক্ষ থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত ডা. কানিজ ফাতেমা স্বীকার করেছেন,
“মেডিকেল সেন্টারে সীমিত পরিসরে কিছু ওষুধ সরবরাহ করা হয়, যার মধ্যে নাপা ও পলিজন বেশি ব্যবহৃত হয়। তবে প্রয়োজনীয় অন্যান্য ওষুধ এবং আধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জামের ঘাটতি রয়েছে।”
এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীরা দাবি তুলেছে, কলেজে যেন একটি পূর্ণাঙ্গ এবং কার্যকর মেডিকেল ইউনিট গড়ে তোলা হয়, যেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা ছাড়াও জরুরি সেবাও নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
শিক্ষার্থী দের আশ্বাস দিয়ে কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডক্টর কাকলি মুখোপাধ্যায় বলেন,“আমি দায়িত্ব গ্রহণ করেছি মাত্র নয় মাস হয়েছে। এই সময়ে কলেজের অবকাঠামোগত উন্নয়নে নানা কাজ করতে গিয়ে কলেজ ফান্ড কিছুটা আর্থিক চাপে পড়েছে। ফলে, এই মুহূর্তে মেডিকেল সেন্টার সংস্কার করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে কলেজের আর্থিক অবস্থা উন্নত হলেই মেডিকেল সেন্টারের সংস্কার কাজ দ্রুত শুরু করা হবে।