নিজস্ব প্রতিনিধি:
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ থেকে আমদানিকৃত পণ্যের শুল্ক হার ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করেছে। শুক্রবার হোয়াইট হাউস থেকে এই সিদ্ধান্তের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়। এই সংশোধনের ফলে বাংলাদেশ এখন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্কে কিছুটা স্বস্তি পেতে পারে, যদিও এখনও দেশটির সাথে একটি পূর্ণাঙ্গ বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা চলমান রয়েছে।
মার্কিন সরকারের এই সিদ্ধান্ত এসেছে এমন এক সময়ে যখন বাংলাদেশের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি (ইউএসটিআর) অফিসের সাথে টানা তিন দিন ধরে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে রয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন, যার সাথে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান, বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমানসহ অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা যুক্ত রয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত এপ্রিলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের উপর উচ্চহারে শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছিলেন, যেখানে বাংলাদেশি পণ্যের উপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছিল। পরে এই শুল্ক তিন মাসের জন্য স্থগিত করা হয় এবং আলোচনার সুযোগ দেওয়া হয়। জুলাইয়ের শুরুতে বাংলাদেশের জন্য এই শুল্ক ৩৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হয় এবং সর্বশেষ সংশোধনীতে তা আরও কমিয়ে ২০ শতাংশ করা হলো।
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্ক কাঠামোতে দেখা যাচ্ছে, আফগানিস্তান, কঙ্গো প্রভৃতি দেশের জন্য শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ শতাংশ, ভারতের জন্য ২৫ শতাংশ, কানাডার জন্য ৩৫ শতাংশ এবং ব্রাজিলের জন্য সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ। অন্যদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর জন্য শুল্ক শূন্য শতাংশ রাখা হয়েছে।
এই শুল্ক হ্রাস বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জন হিসেবে দেখা হচ্ছে, বিশেষ করে যখন দেশটি রপ্তানি বৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার চেষ্টা করছে। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সাথে একটি স্থায়ী ও সমতাপূর্ণ বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনই বাংলাদেশের জন্য দীর্ঘমেয়াদী সমাধান হতে পারে। বর্তমানে ওয়াশিংটনে চলমান আলোচনায় এই লক্ষ্যেই কাজ করছে বাংলাদেশি প্রতিনিধি দল।