নিজস্ব প্রতিনিধি:
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বব্যাপী নতুন শুল্ক কাঠামো প্রণয়নের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য ঘাটতি মোকাবেলার ঘোষণা দিয়েছেন। হোয়াইট হাউসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত নির্বাহী আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, জাতীয় নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষায় এই কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
নতুন এই নীতিতে যেসব দেশের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের অসম বাণিজ্য সম্পর্ক বিদ্যমান, সেসব দেশের পণ্যের উপর অতিরিক্ত মূল্যভিত্তিক শুল্ক আরোপ করা হবে। বিশেষভাবে লক্ষণীয় যে, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর জন্য বিশেষ শুল্ক কাঠামো প্রযোজ্য হবে। তবে যেসব দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সাথে অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা সম্পর্ক জোরদারে সম্মত হয়েছে, তাদের জন্য কিছু শুল্ক ছাড়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
এই সিদ্ধান্তের পেছনে ট্রাম্প প্রশাসনের যুক্তি হলো, দীর্ঘদিন ধরে চলা বাণিজ্যিক ভারসাম্যহীনতা যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি ও জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি সৃষ্টি করেছে। নতুন শুল্ক কাঠামোতে প্রতিটি দেশের জন্য পৃথক শুল্কহার নির্ধারণ করা হয়েছে, যা হোয়াইট হাউসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তালিকায় বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই সিদ্ধান্ত বৈশ্বিক বাণিজ্য সম্পর্কে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষ করে যেসব দেশের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিমধ্যে বাণিজ্য সংঘাত রয়েছে, সেসব দেশ থেকে পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে, যেসব দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সাথে নতুন বাণিজ্য চুক্তি করতে ইচ্ছুক, তাদের জন্য আলোচনার দরজা খোলা রয়েছে।
এই পদক্ষেপকে মার্কিন বাণিজ্য নীতির একটি বড় পরিবর্তন হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা ট্রাম্পের “আমেরিকা ফার্স্ট” নীতির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য ভারসাম্য প্রতিষ্ঠায় যুক্তরাষ্ট্রের এই কঠোর অবস্থান আগামী দিনগুলোতে আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সম্পর্ককে কীভাবে প্রভাবিত করে, তা এখন দেখার বিষয়।
| দেশ | শতাংশ |
|---|---|
| বাংলাদেশ | ২০% |
| আফগানিস্তান | ১৫% |
| আর্জেন্টিনা | ৩০% |
| আরমেনিয়া | ১৫% |
| আসেলো | ১৫% |
| বাহরাইন | ১৫% |
| বাসিফাল ও হার্টসফিল্ড | — |
| বেলজিয়াম | ১৫% |
| বেলিজ | ৩০% |
| বাহামা | ১০% |
| ব্রুনাই | ১০% |
| কুবা | ১৫% |
| কুর্দিস্তান | ১৫% |
| চীন | ৩০% |
| কেম্বোডিয়া | ১৫% |
| কোট ডি’ভোয়ার (আইভরি কোস্ট) | ১৫% |
| কঙ্গো গণপ্রজাতন্ত্রী | ৩০% |
| কেনিয়া | ১৫% |
| ইউনাইটেড স্টেটস সিটি | ১৫% |
| ভারত | ১৫% |
| ইন্দোনেশিয়া | ১৫% |
| ইরান | ৩০% |
| ইসরায়েল | ১৫% |
| জাপান | ১৫% |
| জর্ডান | ৩০% |
| কাজাখস্তান | ৪২% |
| লাওস | ৩০% |
| লক্ষদ্বীপ ও আন্দামান | ১০% |
| লিবিয়া | ১৫% |
| লেবানন | ১৫% |
| বাংলা | ১৫% |
| পাকিস্তান | ১৫% |
| আমেরিকা | ৫৫% |
| সেনেগাল | ১৫% |
| নাইজারিয়া | ৩০% |
| নিউগিনি | ১৫% |
| মাদাগাস্কার | ৩০% |
| মালাউই | ১৫% |
| মালয়েশিয়া | ১৫% |
| মরিশাস | ১৫% |
| মেক্সিকো | ১৫% |
| মোজাম্বিক | ১৫% |
| মিয়ানমার (বার্মা) | ৪০% |
| নামিবিয়া | ১৫% |
| নাউরু | ১৫% |
| নিউজিল্যান্ড | ১৫% |
| নিকারাগুয়া | ১৫% |
| নর্দার্ন ম্যাসেডোনিয়া | ১৫% |
| নরওয়ে | ১৫% |
| পশ্চিম তিমুর | ১৫% |
| ফিলিপাইন | ১৫% |
| ফিনল্যান্ড | ১৫% |
| শ্রীলঙ্কা | ১০% |
| সুইজারল্যান্ড | ৪৫% |
| সিরিয়া | ৪৫% |
| তাইওয়ান | ১০% |
| থাইল্যান্ড | ৪৫% |
| তুর্কমেনিস্তান | ১৫% |
| টিউনিসিয়া | ১৫% |
| তুরস্ক | ১৫% |
| উজবেকিস্তান | ১৫% |
| ভেনেজুয়েলা | ১৫% |
| ভিয়েতনাম | ১৫% |
| জাপান | ১৫% |
| জিম্বাবুয়ে | ১৫% |