২রা আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৮ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৮ই সফর, ১৪৪৭ হিজরি

পবিপ্রবি উপাচার্যকে নিয়ে কটুক্তি, বাকৃবির অধ্যাপককে ‘ভারসাম্যহীন ও রুচিহীন’ আখ্যা দিয়ে শিক্ষার্থীদের বিবৃতি

মোঃ ফাহিম,পবিপ্রবি প্রতিনিধি:

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) অ্যানিমেল সায়েন্স বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মো. আবুল কালাম আজাদের অশালীন ফেসবুক পোস্টের জেরে তাকে রুচিহীন, নৈতিকতাহীন ও ভারসাম্যহীন আখ্যা দিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থীরা।

গত ৩১ জুলাই (বৃহস্পতিবার) পবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলামকে নিয়ে দেওয়া একটি কুরুচিপূর্ণ স্ট্যাটাসের প্রতিবাদে এই বিবৃতি দেওয়া হয়।

জানা যায়, কম্বাইন্ড ডিগ্রির দাবিতে পবিপ্রবির অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থীরা ওই দিন উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় উপাচার্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে বলেন, “কম্বাইন্ড ডিগ্রি হওয়া এখন সময়ের দাবি, তোমাদের দাবি যৌক্তিক।”

পবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির ফেসবুক পেজে এ বক্তব্য একটি ফটোকার্ডের মাধ্যমে প্রকাশিত হলে অধ্যাপক আজাদ সেটি শেয়ার করে পবিপ্রবি উপাচার্যকে নিয়ে কটূক্তি ও বিরূপ মন্তব্য করেন। পরে তীব্র সমালোচনার মুখে তিনি পোস্টটি সরিয়ে ফেলতে বাধ্য হন।

এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে পবিপ্রবির অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থীরা বিবৃতিতে বলেন, “অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ একজন শিক্ষক হয়ে এ ধরনের ভাষা ব্যবহার করে শিক্ষকতা ও নৈতিকতার মর্যাদাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। তার স্বার্থান্বেষী ও অশালীন মন্তব্য তাঁকে সবার কাছে হাস্যকর অবস্থানে নিয়ে গেছে। মানুষ গড়ার কারিগর একজন শিক্ষকের ভাষার এই শোচনীয় অবস্থা কাম্য নয়।”

অধ্যাপক আজাদকে ভারসাম্যহীন আখ্যা দিয়ে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “আমরা চাই শিক্ষক সমাজ হোক চিন্তার উচ্চতর জায়গা থেকে পরিচালিত—যেখানে যুক্তি, শালীনতা ও সম্মান বজায় থাকবে। কিন্তু অধ্যাপক আজাদের এই মন্তব্য তাঁর ব্যক্তিগত রুচির দুর্ভিক্ষের প্রমাণ দেয়। একজন শিক্ষকের মুখের ভাষা যদি তাকে ভারসাম্যহীনদের কাতারে ফেলায়, তাহলে ছাত্ররা তাঁর কাছ থেকে কী শিখবে?”

পবিপ্রবির অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ হিল কাফি বলেন, “একজন শিক্ষক হয়ে অধ্যাপক আবুল কালাম কীভাবে এমন মন্তব্য করতে পারেন, তা আমাদের বোধগম্য নয়। তার শব্দচয়ন ছিল অত্যন্ত কুরুচিপূর্ণ ও অযাচিত। তাঁকে অবশ্যই প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।”

এ বিষয়ে অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, “একজন উপাচার্যকে নিয়ে এ ধরনের পোস্ট দেওয়া আমার ভুল হয়েছে। আমি আমার ভুল বুঝতে পেরে কিছুক্ষণ পর পোস্টটি ডিলিট করে ফেলি। আমি আমার ভুলের জন্য ক্ষমা চাইছি।

ফেসবুকে আমরা

মন্তব্য করুন

guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সর্বাাধিক পঠিত নিউজ

Scroll to Top