নিজস্ব প্রতিনিধি:
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বৃত্তি পরীক্ষাকে নিম্নবিত্ত পরিবারের শিক্ষার্থীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক প্রণোদনা হিসেবে অভিহিত করেছে। শনিবার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই বৃত্তি পরীক্ষা শুধুমাত্র সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রযোজ্য, যা দরিদ্র পরিবারের সন্তানদের শিক্ষার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সহায়ক হবে।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন ঐক্য পরিষদের সংবাদ সম্মেলনে উত্থাপিত বক্তব্যের প্রেক্ষাপটে এই ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের মতে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বেশিরভাগ শিক্ষার্থী নিম্নআয়ের পরিবার থেকে আসে, যেখানে কিন্ডারগার্টেনে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই তুলনামূলকভাবে স্বচ্ছল পরিবারের।
এর আগে ২৩ জুলাই বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন ঐক্য পরিষদ সরকারি বিদ্যালয়ের বৃত্তি পরীক্ষাকে বৈষম্যমূলক আখ্যা দিয়ে এর প্রতিবাদ জানিয়েছিল। মন্ত্রণালয় তাদের বিবৃতিতে স্পষ্ট করে বলেছে, প্রাথমিক শিক্ষা আইন ১৯৯০ এবং সংবিধানের ১৭(ক) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে বিনামূল্যে শিক্ষা প্রদান করা হয়, যা সকল শিশুর জন্য উন্মুক্ত।
মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক আয়োজিত বৃত্তি পরীক্ষায় সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নিতে পারে না, ঠিক তেমনই সরকারি বিদ্যালয়ের বৃত্তি পরীক্ষাও শুধুমাত্র তাদের জন্যই প্রযোজ্য। এই নীতিকে বৈষম্যমূলক না বলে মন্ত্রণালয় এটিকে সামাজিক সুবিচার হিসেবে ব্যাখ্যা করেছে, যা দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ সুবিধা নিশ্চিত করে।