ইমতিয়াজ উদ্দিন, জবি প্রতিনিধি:
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা এবং আবাসন খাতে সম্পূরক বৃত্তির দাবিতে ভিসি ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে জবির শিক্ষার্থীরা।
৪ আগস্ট ( সোমবার) বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ শিক্ষার্থী এবং বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ মিলে দুপুর ১২ টা থেকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে । গত বুধবার শিক্ষার্থীরা জকসুর রোড ম্যাপ এবং সম্পূরক বৃত্তির বিষয়ে সুস্পষ্ট ধারণা দেওয়ার জন্য প্রশাসনকে ২দিন আলটিমেটাম দিয়েছিল। সেই প্রেক্ষিতে আল্টিমেটাম শেষ হলেও কোন স্পষ্ট বার্তা না আসার কারণে আজ শিক্ষার্থীরা উপাচার্য ভবনের সামনে অবস্থান করছে।
এই বিষয়ে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ , জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি এ কে এম রাকিব বলেন, “আমরা গত বুধবার সম্পূরক বৃত্তি ও জকসুর রোডম্যাপের দাবিতে ২দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছি কিন্তু প্রশাসন কোনো কর্ণপাত করছে না। তারা ভাবছে আমরা হয়তো হাল ছেড়ে দিবো কিন্তু তারা জানেনা আমরা শিক্ষার্থীদের সম্পূরক বৃত্তি ও জকসুর দাবিতে যে কোনো কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।”
বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ, জবি শাখার সাধারণ সম্পাদ রায়হান রাব্বি বলেন,”গত বছরে জুলাইয়ের পরে জবি শিক্ষার্থীদের প্রথম দাবি ছিল ছাত্র সংসদ নির্বাচন, কিন্তু একবছরেও এখনও নীতিমালা চূড়ান্ত হয়নি। সেপ্টেম্বরের মধ্যেই ছাত্র সংসদ নির্বাচন দিতে হবে। আমাদের লং মার্চ টু যমুনার প্রধান দাবি ছিল আবাসন ভাতা বা সম্পূরক বৃত্তি, কিন্তু সেটা জুলাই থেকে কার্যকর করার কথা বললেও কবে থেকে এই বৃত্তি বা ভাতা শিক্ষার্থীদের কাছে পৌছাবে সেই রোডম্যাপ এখনও প্রকাশ হয়নি। আমাদের সোজা কথা দবি দুটি দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে না হলে, আমরাতো কি করতে পারি সেটা পুরো বাংলাদেশই দেখেছে।”
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ, জবি শাখার আহবায়ক ফয়সাল মুরাদ বলেন, “সম্পূরক বৃত্তি এবং জকসু নিয়ে প্রশাসনের প্রহসন আর সহ্য করা হবে না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের শিক্ষার্থীবিরোধী প্রহসন চলছেই। সম্পূরক বৃত্তি কবে নাগাদ শিক্ষার্থীরা পাবে, তা পরিষ্কারভাবে জানাতে হবে—ধোঁয়াশা চলবে না। আগামী ০৭ আগস্ট ২০২৫, বৃহস্পতিবারের মধ্যে জকসুর নীতিমালা সিন্ডিকেটে অনুমোদন দিয়ে মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে।”
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ, জবি শাখার মুখ্য সংগঠক ফেরদৌস শেখ বলেন,” সম্পূরক বৃত্তি নিয়ে প্রশাসনের নিরবতা শিক্ষার্থীদের মাঝে উদ্বেগ তৈরি করেছে—আদৌ এটি বাস্তবায়ন হবে কি না, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। এই ধরনের সমস্যা মোকাবেলায় জকসুর উপস্থিতি জরুরি হয়ে পড়েছে যাতে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা শিক্ষার্থীদের দাবি সঠিকভাবে তুলে ধরে বাস্তবায়নে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেন।”