নিজস্ব প্রতিনিধি:
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানের আদেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলনে নিহত ১১৪ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির লাশ রায়েরবাজার কবরস্থান থেকে উত্তোলনের প্রক্রিয়া শুরু হতে যাচ্ছে। সোমবার (৪ আগস্ট) আদালত পরিচয় শনাক্তকরণের জন্য এ আদেশ দেন।
মোহাম্মদপুর থানার উপ-পরিদর্শক মো. মাহিদুল ইসলামের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেওয়া হয়। আবেদনে উল্লেখ করা হয়, আন্দোলনের সময় ঢাকার বিভিন্ন স্থানে নিহত এসব ব্যক্তিকে অজ্ঞাতনামা হিসেবে রায়েরবাজার কবরস্থানে দাফন করা হয়েছিল। আইনি প্রক্রিয়া ও শনাক্তকরণের জন্য লাশ উত্তোলন, পোস্টমর্টেম রিপোর্ট পরীক্ষা এবং ডিএনএ সংগ্রহ জরুরি হয়ে পড়েছে।
আদালত ১৮৯৮ সালের ফৌজদারি কার্যবিধির ১৭৬(২) ধারা অনুযায়ী একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঢাকার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দিয়েছেন। যদিও সোমবার বিকেলে লাশ উত্তোলনের কথা থাকলেও অনিবার্য কারণে তা স্থগিত করা হয়েছে বলে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মোহাম্মদপুর জোনের এডিসি জুয়েল রানা জানিয়েছেন।
গত ২ আগস্ট রায়েরবাজার কবরস্থান পরিদর্শন করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “এখানে ১০০ জনের বেশি ব্যক্তিকে দাফন করা হয়েছে, যাদের অনেকেরই পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। আমরা ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে তাদের শনাক্ত করার চেষ্টা করব।”
এ প্রক্রিয়ায় মৃতদের পরিবারগুলিকে তাদের প্রিয়জনদের শেষকৃত্য সঠিকভাবে সম্পন্ন করার সুযোগ দেওয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে ডিএনএ ম্যাচিংয়ের মাধ্যমে শনাক্তকৃত লাশ সংশ্লিষ্ট পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।