নিজস্ব প্রতিনিধি:
অর্থপাচার মামলায় ১০ বছরের সাজা থেকে খালাস পেয়েছেন আলোচিত ঠিকাদার ও সাবেক যুবলীগ নেতা এসএম গোলাম কিবরিয়া শামীম (জিকে শামীম)। বৃহস্পতিবার বিচারপতি এএসএম আব্দুল মবিন ও বিচারপতি জাবিদ হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ রায় দেন।
২০২৩ সালের ১৭ জুলাই ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০-এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম অর্থপাচার আইনের মামলায় জিকে শামীমকে ১০ বছর কারাদণ্ড দেন। একই মামলায় তার ৭ দেহরক্ষীকে ৪ বছর করে কারাদণ্ড এবং ৩ কোটি ৮৩ লাখ ৩৫ হাজার ৮১৪ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল।
২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) গুলশানের নিকেতন এলাকায় শামীমের অফিসে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে। অভিযানে ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা, ৯ হাজার মার্কিন ডলার, ৭৫২ সিঙ্গাপুর ডলার, ১৬৫ কোটি টাকার এফডিআর, অস্ত্র ও বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ জব্দ করা হয়। পরবর্তীতে র্যাব তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক ও অর্থপাচারসংক্রান্ত তিনটি মামলা করে।
সিআইডির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবু সাঈদ ২০২০ সালের ৪ আগস্ট মামলার চার্জশিট দাখিল করেন। অভিযোগে বলা হয়, শামীম দীর্ঘদিন ধরে দেহরক্ষীদের সহায়তায় অস্ত্র প্রদর্শন, টেন্ডারবাজি, মাদক ও জুয়ার ব্যবসা এবং চাঁদাবাজির মাধ্যমে অবৈধ অর্থ উপার্জন করেছেন। তদন্তে আরও উঠে আসে, তিনি বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ পাচারের জন্য ব্যাংক হিসাবে কয়েকশ’ কোটি টাকা জমা রেখেছিলেন।
হাইকোর্টের রায়ে শামীমের সাজা খালাস পাওয়ায় এখন তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত অন্যান্য মামলার পরিণতি নিয়ে আইনি মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে। র্যাব ও অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবীরা রায় পাওয়ার পরই তাদের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাবেন বলে জানা গেছে।
এই রায়ের মধ্য দিয়ে জিকে শামীমের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে চলা আইনি লড়াইয়ের একটি অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটল। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, তার বিরুদ্ধে অন্যান্য মামলাগুলোতে তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।