নিজস্ব প্রতিনিধি:
হাইকোর্ট বৃহস্পতিবার আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে দায়ের করা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলাটি অবৈধ ঘোষণা করে তা বাতিলের আদেশ দিয়েছেন। এই রায়ের মাধ্যমে ২০১৮ সালের ৭ আগস্ট থেকে চলমান আইনি জটিলতার অবসান ঘটল।
২০২৪ সালের ৪ নভেম্বর হাইকোর্ট এই মামলার তদন্ত কার্যক্রম স্থগিত করেছিলেন এবং মামলা বাতিল না করার কারণ জানতে রুল জারি করেছিলেন। শহিদুল আলমের পক্ষে দায়ের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ সিদ্ধান্ত নেন।
২০১৮ সালের ৫ আগস্ট নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনের সময় শহিদুল আলমকে তার বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরদিন তাকে ‘উস্কানিমূলক মিথ্যা প্রচারণা’র অভিযোগে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে রিমান্ডে নেওয়া হয়। সিএমএম আদালত তার জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন।
প্রায় সাড়ে তিন মাস কারাগারে থাকার পর ২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ তাকে জামিন দেন। বিচারপতি শেখ আবদুল আউয়াল ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় দিয়েছিলেন। ২১ নভেম্বর জামিনে মুক্তি পান শহিদুল আলম।
আইনজীবী সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের অক্টোবরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের পর এই মামলার আইনি বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। হাইকোর্টের আজকের রায়ে সেই আইনি জটিলতারই অবসান ঘটল।
এই রায়কে মানবাধিকার কর্মী ও আইনজীবীরা একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে দেখছেন। তারা মনে করছেন, এটি ভবিষ্যতে একই ধরনের মামলাগুলোর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ নজির তৈরি করবে। শহিদুল আলমের আইনজীবীরা জানিয়েছেন, এই রায়ের মাধ্যমে তাদের ক্লায়েন্টের বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ থেকে মুক্তি পেলেন তিনি।
নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সময় গ্রেফতারকৃত শহিদুল আলমের এই মামলাটি দেশব্যাপী ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছিল। আজকের রায়ে সেই দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের সমাপ্তি ঘটল।