মো. সাইফুল ইসলাম, নীলফামারী প্রতিনিধি:
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বৃত্তি পরীক্ষা ২০২৫ সুষ্ঠু ও নিরাপদভাবে আয়োজনের দাবিতে নীলফামারীতে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন সদর উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) বিকেলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্মারকলিপিটি গ্রহণ করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জ্যোতিষ বিকাশ চন্দ্র রায়। তিনি শিক্ষক প্রতিনিধিদের আশ্বস্ত করে বলেন,স্মারকলিপিতে উল্লিখিত বিষয়গুলো যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করা হবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে উদ্যোগ নেওয়া হবে।
স্মারকলিপিতে শিক্ষকরা উল্লেখ করেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থীই নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তান। বৃত্তি পরীক্ষার মাধ্যমে তারা শিক্ষাজীবনে অগ্রসর হওয়ার গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ পায়। অথচ কিন্ডারগার্টেন প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের ব্যবস্থাপনায় পৃথক বৃত্তি পরীক্ষা আয়োজন করে, যেখানে সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করতে পারে না।
তারা আরও জানান, অভিভাবকদের মধ্যেও সরকারি ব্যবস্থাপনায় বৃত্তি পরীক্ষা পুনরায় চালুর দাবি জোরালো হচ্ছে। এ ছাড়া সম্প্রতি কিছু কিন্ডারগার্টেন শিক্ষক ও অভিভাবকের পক্ষ থেকে সরকারি বিদ্যালয়ের বৃত্তি পরীক্ষা ব্যাহত করার হুমকি এসেছে বলেও স্মারকলিপিতে অভিযোগ করা হয়। এমনকি ঢাকায় আন্দোলনের মাধ্যমে শহর অচল করে দেওয়ার ও পরীক্ষার্থীদের ওপর হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।
স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন—গোড়গ্রাম কে এম সি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হাজ্জাজ বিন হবিবর, জানকীনাথ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জিয়াউর রহমান, বিশমুড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মোছা. লুৎফন নাহার, শালহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. মনিরুজ্জামান, ২নং পুটিহারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. সালাহ্ উদ্দিন নুরী, ইটাখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সন্তোষ কুমার রায়, টুপামারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সায়ফুল ইসলাম মানিক এবং নগর দারোয়ানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আসাদুজ্জামান আসাদসহ আরও অনেক শিক্ষক।
স্মারকলিপির মাধ্যমে শিক্ষকরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে দাবি জানান, বৃত্তি পরীক্ষার পরিবেশ যেন কোনোভাবে বিঘ্নিত না হয় এবং শিক্ষার্থীরা যেন নিরাপদ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু পরিবেশে পরীক্ষা দিতে পারে—এ বিষয়ে রাষ্ট্রীয়ভাবে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ নিশ্চিত করা হোক।