নিজস্ব প্রতিনিধি:
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সময় মানবাধিকার লঙ্ঘন বিষয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক দপ্তরের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং প্রতিবেদনকে ‘ঐতিহাসিক দলিল’ হিসেবে ঘোষণা করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী তিন মাসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরকে গেজেট আকারে এটি প্রকাশ করার জন্য বলেছেন আদালত। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের অবগতির জন্য প্রতিবেদনটি সংরক্ষণেরও নির্দেশ দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি সৈয়দ জাহেদ মনসুরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ সংক্রান্ত রুলের চূড়ান্ত শুনানিসাপেক্ষে এ রায় ঘোষণা করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ নিজেই। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শফিকুর রহমান ও তানিম খান এবং সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইকরামুল কবির।
গত বছরের ১৩ আগস্ট গণহত্যাকারী ও স্বৈরশাসককে টিকিয়ে রাখার ক্ষেত্রে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে এই রিটটি দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ। পরবর্তীতে গত ১৪ মে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সময় মানবাধিকার লঙ্ঘন বিষয়ে জাতিসংঘের প্রতিবেদনটিকে ‘ঐতিহাসিক দলিল’ হিসেবে ঘোষণা ও প্রমাণ হিসেবে সংরক্ষণের জন্য সম্পূরক আবেদন দাখিল করা হয়।
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তরের (ওএইচসিএইচআর) তথ্যানুসন্ধান দল ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশে সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যা গত ফেব্রুয়ারি মাসে প্রকাশিত হয়। রিটকারীর দাবি ছিল, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জ্ঞান আহরণ ও গবেষণার উদ্দেশ্যে প্রতিবেদনটি সংরক্ষণ করা হোক।
রায়ের পর আইনজীবী তানভীর আহমেদ জানান, আদালতের পূর্ববর্তী নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে ইতিমধ্যে ট্রাইব্যুনাল পুনঃপ্রতিষ্ঠা, আইন সংশোধন এবং তদন্ত ও অভিযোগকারী দল গঠনসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। জাতিসংঘের প্রতিবেদনটি ঘটনাবলির একটি পূর্ণাঙ্গ ও যথাযথ দলিল হিসেবে ভবিষ্যতে প্রমাণ ও গবেষণার কাজে ব্যবহারের জন্য এটি সংরক্ষণ করা প্রয়োজন।