নিজস্ব প্রতিনিধি:
বিতর্কিত ইউটিউবার ও কন্টেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদিকে আসাদুল হক বাবু হত্যা মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। রোববার রাতে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) বরিশাল থেকে তাকে গ্রেফতার করে। ঢাকা মহানগর পুলিশের যাত্রাবাড়ী থানায় দায়েরকৃত এই মামলায় এর আগে গত ১৭ আগস্ট আফ্রিদির বাবা ও মাইটিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন সাথীকে গ্রেফতার করা হয়।
সোমবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আফ্রিদিকে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মুহাম্মদ শামসুদ্দোহা সুমন আদালতে দাবি করেন, “এই আসামি লাইভে এসে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগকে আন্দোলনকারীদের নারকীয় হত্যা করতে উৎসাহিত করেন। তাকে রिमান্ডে নিলে জানা যাবে কারা এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত।”
রিমান্ড আবেদনে উল্লেখ করা হয় যে আফ্রিদি ইউটিউব ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একজন আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে জুলাই আন্দোলনের সময় পূর্বতন সরকারের পক্ষে অবস্থান নেন। তিনি সেলিব্রিটি ও অন্যান্য কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের দিয়ে আন্দোলন বন্ধের জন্য প্ররোচিত করেন এবং যারা তার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছে তাদের বিভিন্ন হুমকি দেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
আফ্রিদির পক্ষে তার আইনজীবী মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে বলেন, “আন্দোলনের সময় পুলিশ, ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের মাঝে পড়ে মারা যান আসাদুল হক বাবু। তৌহিদ আফ্রিদি আওয়ামী লীগের কেউ নন।” তিনি আরও যোগ করেন যে মামলার বাদী এফিডেভিট দিয়ে বলেছেন, ভুল তথ্যে মামলায় তাদের আসামি করা হয়েছে।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ ফারজানা হক আফ্রিদির পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আইনজীবীরা আফ্রিদির কিডনিতে জটিলতা আছে জানিয়ে তাকে আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রে অ্যাম্বুলেন্সের সুবিধা চাইলে আদালত সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।