ইনকিয়াদ আহম্মেদ রাফিন, ঝিকরগাছা উপজেলা প্রতিনিধি :
যশোরের ঝিকরগাছায় জমি বিক্রয়ের বায়না ১৮লাখ টাকা নিয়ে ৬লাখ টাকা ফেরৎ না দিয়ে ক্রেতা মোসলেম আলীকে জমি রেজিষ্ট্রি না করে ওই জমি দখল করে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে, জমি বিক্রেতা আনিসুর রহমান নামের এক প্রতারকের বিরুদ্ধে। প্রতারক জমি বিক্রেতা আনিসুর রহমান ঝিকরগাছা উপজেলা খাসখালী গ্রামের মৃত তোজাম্মেল হক মোল্লার ছেলে।
এ ঘটনায় ক্রেতা মোসলেম আলী প্রতারক আনিসুর রহমানের বিরুদ্ধে যশোর আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন বলে জানা যায়।
আদালতে দাখিলকৃত মামলা সূত্রে জানা যায়, আসামি আনিসুর রহমান কয়েক বছর আগে জমি বিক্রয়ের প্রস্তাব দিলে মোসলেম আলী আনিসুর রহমানকে ১৮লাখ টাকা দেয়, জমি রেজিট্রি নাকরে মোসলেমের দখলে দেওয়া জমি পুনরায় দখলে নিয়ে নেন আনিসুর রহমান। পরে গ্রাম্য সালিশ করে ১৮ লাখের মাঝে ৯লাখ দিলেও দলের পাওয়ারে বাকি ৬লাখ টাকা নাদিয়ে মোসলেমের দখলে থাকা জমি জোর করে দখল করে নেয় আনিসুর। এসময় আনিসুর রহমান বলেন কাগজ পত্র ঠিক করিয়া জমি রেজিস্ট্রি করিয়া দিব।
পরবর্তীতে জমি রেজিষ্ট্রি করতে আনিসুর বিভিন্ন সময় নানান টালবাহানা করে। পরবর্তীতে আনিসুর জমি রেজিষ্ট্রি করে না দেওয়ায় স্থানীয়ভাবে একটি গ্রাম্য সালিশ হয় এবং উক্ত লিখিত সালিশের সময় আনিসুর স্বাক্ষর করেন। উক্ত সালিশে আপোষনা অনুযায়ী মোসলেম ৬লাখ টাকা পাওনা করেন।এদিকে আনিসুর জমি রেজিট্রি করে না দিয়ে জমি দখল করে নিয়েছে। এমতাবস্থায় মোসলেম পাওনা টাকা ফেরত পেতে তার কাছে বার বার তাগিদ দেয়।
আনিছুর আজ কাল করে তাল বাহানা করে। ও টাকা দিবেনা বরং জীবন নাশের হুমকি প্রদান করে। এদিকে পাওনা টাকা পরিশোধের জন্য মোসলেম আলী নিরুপায় হয়ে গত ৮ই জুলাই তারিখে আইনজীবির মাধ্যমে লিগ্যাল নোটিস প্রেরন করেন।কিন্তু প্রতারক আনিসুর লিগ্যাল নোটিশের জবাব তো দেয়নি বরং বিভিন্ন সময় হুমকি দিয়ে চলেছেন। পরে টাকা ফেরত দিতে টালবাহানা করে প্রতারক আনিসুর। সর্বশেষ সাক্ষীগনের উপস্থিতিতে আনিসুরের পিতার বাড়ী দ্বিতীয় দফায় সালিশ বসে। সেখানে প্রতারক আনিসুর ৬লাখ টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
এঘটনায় মোসলেম আলী বাদি হয়ে প্রতারক আনিসুরের বিরুদ্ধে যশোর আমলী আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। এসময় তিনি প্রশাসন ও আদালতের সহযোগিতা কামনা করেন।
সরেজমীনে ঘটনা অনুসন্ধানে গেলে এলাকার শতাধিক আমজনতা সাংবাদিকদেরকে বলেন মোসলেম আলী ও আনিসুর পরম আত্মীয়, মোসলেম আলীর নিকট থেকে জমি বিক্রি করে টাকা নিয়ে জমি দখলেও দেয় পরে আর রেজিস্ট্রি করে না দিয়ে তাল বাহনা করতে থাকে এক পর্যায়ে জমি আনিসুর দখলে নিয়ে নেয়। মোসলেম জমি কিনেছে এটা সঠিক।