নিজস্ব প্রতিনিধি:
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিউইয়র্কে কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুর রহমান আল-থানির সঙ্গে নৈশভোজ করেছেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ট্রাম্পের শীর্ষ উপদেষ্টা ও বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ। খবরটি নিশ্চিত করেছে রয়টার্স।
শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) এই নৈশভোজ অনুষ্ঠিত হয়, মাত্র দুই দিন আগে ইসরাইল দোহায় হামাস নেতাদের লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায়। গত ৯ সেপ্টেম্বর গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার সময় কাতারের রাজধানী দোহায় হামাসের একটি অফিস ভবনে এ হামলা চালানো হয়। এতে নিহত হন সিনিয়র হামাস নেতা খলিল আল-হাইয়ার ছেলে হুমাম, তার তিন দেহরক্ষী এবং একজন কাতারি নিরাপত্তা কর্মকর্তা।
ইসরাইলের ওই হামলার পর গাজা যুদ্ধ নিয়ে উত্তেজনা আরও তীব্র হয়। প্রায় দুই বছর ধরে চলমান সংঘাতের অবসান এবং যুদ্ধবিরতির আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এ হামলার তীব্র নিন্দা জানায়।
এ হামলার পর ট্রাম্প ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন এবং হামলায় বিরক্তি প্রকাশ করেন। তিনি কাতারকে আশ্বস্ত করেন যে এমন হামলা আর হবে না। এর পরপরই ট্রাম্প নিউইয়র্কে কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নৈশভোজে মিলিত হন।
কাতারের উপমিশন প্রধান হামাহ আল-মুফতাহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লেখেন, “প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দুর্দান্ত নৈশভোজ, এখনই শেষ হলো।” হোয়াইট হাউসও নৈশভোজের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে, তবে বিস্তারিত জানায়নি।
নৈশভোজের আগে আল-থানি হোয়াইট হাউসে প্রায় এক ঘণ্টা মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে ইসরাইলের হামলার পর কাতারের মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ভূমিকা ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয় বলে সূত্র জানিয়েছে।
ট্রাম্প এর আগে ইসরাইলের এ হামলায় অসন্তোষ প্রকাশ করে একে ‘একতরফা পদক্ষেপ’ বলে মন্তব্য করেছিলেন। ওয়াশিংটন দীর্ঘদিন ধরে কাতারকে উপসাগরীয় অঞ্চলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মিত্র হিসেবে বিবেচনা করে আসছে। গাজায় যুদ্ধবিরতি, ইসরাইলি জিম্মিদের মুক্তি এবং যুদ্ধ-পরবর্তী পুনর্গঠন পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনায় কাতার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
সম্প্রতি আল-থানি ইসরাইলকে শান্তির সম্ভাবনা নষ্টের অভিযোগ আনলেও স্পষ্ট করে বলেছেন, কাতারকে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা থেকে সরানো যাবে না।