নিজস্ব প্রতিনিধি:
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) আয়োজিত হলো ‘ইয়্যুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড-২০২৫’। অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা তরুণ সমাজের মেধা, শক্তি ও সৃজনশীলতাকে দেশের উন্নয়নে কাজে লাগানোর আহ্বান জানান। তিনি বলেন, তরুণরা সক্রিয় থাকলে দেশের কোনো সমস্যাই অমীমাংসিত থাকতে পারে না। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশকে একটি উন্নত, মানবিক ও উদ্ভাবনী রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব।
তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, আজকের এই আয়োজন তরুণদের উদ্যম, সৃজনশীলতা ও নেতৃত্বগুণের এক উৎসব। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি পুরস্কারপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানান।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, যখন একটি দেশের যুবসমাজ সক্রিয়, উদ্যমী এবং উদ্ভাবনী শক্তিতে বলীয়ান থাকে, তখন কোনো প্রতিবন্ধকতা তাদের অগ্রযাত্রাকে থামাতে পারে না। দেশের তরুণরা আজ শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, পরিবেশ সুরক্ষা, দারিদ্র্য বিমোচন ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
তিনি আরও বলেন, জনস্বাস্থ্যের সংকট, শিক্ষার সীমাবদ্ধতা ও পরিবেশগত বিপর্যয়ের মতো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তরুণদের ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসা প্রয়োজন। স্বেচ্ছাসেবা কেবল মানবকল্যাণেই সীমাবদ্ধ নয়, এটি আত্ম-উন্নয়ন, চরিত্র গঠন ও নেতৃত্বের গুণাবলি বিকাশের শ্রেষ্ঠ পথ।
যুবসমাজের উদ্দেশে তিনি বলেন, শুধু স্বেচ্ছাসেবক হয়ে থেমে যেও না, বরং সমাজের নীতি নির্ধারক, উদ্ভাবক ও পরিবর্তনের স্থপতি হয়ে ওঠো। এই পুরস্কার কেবল স্বীকৃতি নয়, বরং একটি আহ্বান—সমাজের কল্যাণে নতুন ধারণা ও উদ্ভাবন নিয়ে কাজ করার।
তিনি শেষে পুনরায় বলেন, তরুণদের সম্মিলিত প্রয়াসেই বাংলাদেশ বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।