নিজস্ব প্রতিনিধি:
ফরিদপুর-৪ আসনের ভাঙ্গা উপজেলার দুটি ইউনিয়ন পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ, অফিস ও থানায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার দিকে ঢাকায় ফেরার আগে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, জনগণের শান্তি ও শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য যা যা প্রয়োজন সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যারা নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্বে ছিলেন তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ডিআইজি ক্ষতিগ্রস্ত অফিসগুলো পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন এবং ভাঙ্গা উপজেলার কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক জরুরি বৈঠক করেন। তিনি বলেন, “যারা ফ্যাসিস্ট আচরণ করছে, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। ইতোমধ্যে গ্রেফতারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় চার-পাঁচজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
তিনি আরও জানান, ভাঙ্গা থানার ক্ষয়ক্ষতির দায়িত্ব জেলা পুলিশকে এবং উপজেলা পরিষদের ক্ষয়ক্ষতির দায়িত্ব জেলা প্রশাসককে দেওয়া হয়েছে।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) কামরুল হাসান মোল্লা জানান, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কথা বলে স্থানীয়দের অনুভূতি তুলে ধরে একটি প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। যেহেতু ইউনিয়ন কাটা নিয়ে হাইকোর্টে রিট হয়েছে, তাই ২১ সেপ্টেম্বর শুনানির পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানা যাবে।
তিনি ভাঙ্গার জনগণকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আপনারা কর্মসূচি থেকে সরে আসুন এবং সময়ের জন্য অপেক্ষা করুন। ভাঙ্গার সুনাম রক্ষায় জনগণের যেন কষ্ট না হয়, সে বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।”
এসময় ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি সিদ্দিকুর রহমান, ফরিদপুর জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান মোল্লা, পুলিশ সুপার এম এ জলিল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসিফ ইকবাল, ভাঙ্গা থানার ওসি মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন, হাইওয়ে থানার ওসি মো. রোকিবুজ্জামানসহ প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।