নিজস্ব প্রতিনিধি:
আওয়ামী লীগ সরকারের সময় টিএফআই-জেআইসি সেলে গুম-খুনের মাধ্যমে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দুই মামলায় হেফাজতে থাকা ১৫ জন সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
বুধবার (২২ অক্টোবর) সকালে অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। হাজিরার আগে তারা জামিনের আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন বিচারিক প্যানেলে ১৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগের শুনানি হবে।
ট্রাইব্যুনালে হাজির হওয়া কর্মকর্তারা হলেন— ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, মেজর জেনারেল মোস্তফা সরোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, লে. কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম, কর্নেল মশিউল রহমান জুয়েল, লে. কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন, মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, মেজর জেনারেল কবির আহম্মেদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী, কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, লে. কর্নেল মখচুরুল হক (অব.), ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার এবং কর্নেল কেএম আজাদ।
দুই মামলায় শেখ হাসিনাসহ মোট ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে এক মামলায় ১৭ জন এবং অন্য মামলায় ১৩ জন আসামি রয়েছেন। উভয় মামলাতেই শেখ হাসিনার নাম রয়েছে। ২৩ সেনা কর্মকর্তার মধ্যে বর্তমানে ১৫ জন হেফাজতে আছেন।
এদিকে, সেনা কর্মকর্তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজিরাকে কেন্দ্র করে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা লক্ষ্য করা গেছে। ভোর থেকেই ট্রাইব্যুনাল সংলগ্ন হাইকোর্টের মাজারগেট, মৎস্য ভবন, কাকরাইলসহ আশপাশের এলাকায় সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব ও পুলিশের সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে ছিলেন।