নিজস্ব প্রতিনিধি:
বৈষম্যবিরোধী জুলাই–আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুনকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
সোমবার একই রায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হলেও আইজিপি মামুনের শাস্তি মেনে নিতে পারছেন না জুলাই যোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা। তাদের দাবি, হাসিনার নির্দেশ বাস্তবায়নকারী হিসেবে মামুনের শাস্তি কমপক্ষে যাবজ্জীবন কিংবা মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত ছিল।
রায় শোনার পর আদালতে উপস্থিত শহীদ মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধর বাবা মীর মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, মামুনের রায় মানি না—উচ্চ আদালতে যাব। একই প্রতিক্রিয়া জানান মুগ্ধর ভাই মীর স্নিগ্ধসহ বহু আহত ও আন্দোলনকারী। তারা বলেন, ১৪০০ মানুষকে হত্যার দায় এড়াতে পারেন না তৎকালীন আইজিপি।
ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েমও মামুনের শাস্তিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বিশিষ্ট আইনজীবী আবু হেনা রাজ্জাকী মন্তব্য করেন, ১৭ মাস জেল খাটায় মামুনের বাকি সাজা মাত্র ২৮ মাস—এটি অযৌক্তিক।
প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম জানান, রাজসাক্ষী হওয়ায় তার সাজার মাত্রা কম। এ মামলায় তিনি আগে আসামি ছিলেন না, পরে যুক্ত হয়ে দোষ স্বীকারের ভিত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেন।
সোমবার দুপুরে ৪৫৩ পৃষ্ঠার রায়ের সংক্ষিপ্তাংশ পড়ে শোনানোর পর ট্রাইব্যুনাল হাসিনা ও কামালকে ফাঁসি এবং মামুনকে ৫ বছরের দণ্ড ঘোষণা করে। রায় ঘোষণার সময় আদালতের ডকে বসে চুপচাপ ছিলেন মামুন এবং দণ্ড শোনার পরও কোনো মন্তব্য করেননি।