নিজস্ব প্রতিনিধি:
ভূমিকম্পসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগকে আল্লাহর কুদরতের নিদর্শন ও বান্দাদের জন্য সতর্কবার্তা হিসেবে উল্লেখ করেছেন আলেম ও ইসলামি বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, এমন বিপর্যয়ের সময় মানুষের উচিত বিনয়াবনত হৃদয়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া, তওবা করা এবং বেশি বেশি দোয়া-সদকা করা।
ইসলামী দৃষ্টিকোণে বলা হয়—আল্লাহতায়ালা মানুষকে পরীক্ষা করার জন্য দারিদ্র্য, বিপদ-আপদ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ পাঠান। সূরা আনআমের ৪২-৪৪ নম্বর আয়াতে এসব দুর্যোগের মাধ্যমে মানুষের আল্লাহর দিকে ফিরে আসার কথা উল্লেখ আছে।
ফুকাহায়ে কেরাম ভূমিকম্পের সময় নফল নামাজ, ইস্তেগফার ও দোয়া বাড়ানোর পরামর্শ দেন। হাদিসে এসেছে—“সদকা বিপদ-আপদ দূর করে।” (বুখারি)
এ ছাড়া যেকোনো সংকটে নবী ইউনুস (আ.)–এর দোয়া ‘লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ্জালিমিন’ পাঠ করার কথাও উল্লেখ করেন ইসলামি বিশেষজ্ঞরা।
ইতিহাসে দেখা যায়, ওমর ইবনে আবদুল আজিজ (রা.) ভূমিকম্পের সময় জনগণকে দান-সদকা করতে নির্দেশ দিতেন। আলেমরা মনে করেন, সমাজে পাপাচার, জুলুম, দুর্নীতি ও নৈতিক অবক্ষয় বাড়লে আল্লাহর গজব নেমে আসতে পারে।
তিরমিজির এক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে—অবৈধ উপার্জন, জাকাত ফাঁকি, মদ্যপান, নারী শিল্পীর প্রচলন, নেতাদের স্বৈরাচারী আচরণসহ বিভিন্ন অনাচার ছড়িয়ে পড়লে ভয়াবহ ভূমিকম্প দেখা দিতে পারে।
ইসলামী চিন্তাবিদদের মতে, আধুনিক প্রযুক্তি ভূমিকম্প আগাম রোধ করতে সক্ষম না হলেও—তওবা, ইস্তেগফার, সৎকাজের প্রসার ও অন্যায় থেকে বিরত থাকা সমাজকে আল্লাহর শাস্তি থেকে রক্ষা করতে পারে।