২৬শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৫ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

দুমকী উপজেলায়, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স টেকনিশিয়ানের অভাবে এক্স-রে বন্ধ

জাকির হোসেন হাওলাদার, দুমকী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি :

পটুয়াখালী জেলার দুমকী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টেকনিশিয়ানের অভাবে বন্ধ রয়েছে এক্সরে। এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীরা। প্রায়ই তাদেরকে বাইরের ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে বেশি টাকা দিয়ে এক্স-রে করাতে হচ্ছে। এছাড়াও বিকল হয়ে পড়ে আছে জেনারেটর। ফলে অনেক সময় অন্ধকারেই সেবা দিতে হচ্ছে চিকিৎসক ও নার্সদের।

এর আগে মোমবাতি জ্বালিয়ে চিকিৎসা সেবা দেয়ার ছবি ভাইরাল হলেও হয়নি উল্লেখযোগ্য সমাধান। এদিকে হাসপাতালের আলট্রাপ্লেগ্রাম মেশিনটি সচল থাকলেও সব সময় তার কার্যক্রম চলছে না।

প্রায়ই বাহির থেকে আলট্রা করাতে হচ্ছে রোগীদের। এতে বাড়তি টাকা দিতে হচ্ছে রোগীদের। ফলে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীরা শিকার হচ্ছে নানা বিড়ম্বনায়। হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগ চালু থাকলেও সব রক্তের পরীক্ষা করানো হয় না। অভিযোগ রয়েছে তাদের পছন্দমত প্যাথলজিতে পাঠিয়ে পরীক্ষা করানোর।

সরেজমিনে দেখা যায়, গত ২৭/১/২০ ইং তারিখে হাসপাতালে একটি নতুন এক্স-রে মেশিন আসলেও টেকনিশিয়ানের অভাবে তা তালাবদ্ধ রয়েছে। দুমকী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন সহ পার্শবর্তী বাকেরগঞ্জ ও বাউফল এবং পটুয়াখালী উপজেলার নিকটবর্তী এলাকারও শত শত রোগী চিকিৎসা সেবা নিতে আসে এখানে। কিন্তু হাসপাতালের বেহালদশার কারনে কাক্সিক্ষত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা।

হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা উপজেলার রাজাখালী গ্রামের পরি বেগম বলেন, আমার পায়ে সমস্যা তাই ডাক্তার আমাকে এক্সরে ও কিছু রক্তের পরীক্ষা দিয়েছে যা বাহিরে করাতে হচ্ছে। টাকার অভাবে রক্তের পরীক্ষা করাতে পারিনি, ৫০০ টাকা দিয়ে শুধু এক্স-রে করিয়েছি।

এ বিষয়ে আক্ষেপ করে তার স্বামী সেরজন বলেন, সরকার স্বাস্থ্য খাতে কোটি টাকা ব্যয় করে কিন্তু আমরা সে সেবা পাইনা। আমাদের খেতে কষ্ট। এর মধ্যে ২ হাজার টাকার পরীক্ষা দিয়েছে ডাক্তার। হাসপাতালে এক্স-রে ও রক্তের পরীক্ষাগুলো ফ্রি করাতে পারলে আমরা উপকৃত হতাম।

হাসপাতালের ল্যাবরেটরি বিভাগের ল্যাব টেকনিশিয়ান আরিফুর রহমান সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমাদের এখানে সব ধরনের পরীক্ষা করানো সম্ভব হয় না।উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. শহিদুল হাসান শাহীন বলেন, আমি এক্স-রে টেকনিশিয়ানের চাহিদা দিয়ে কয়েক দফা চিঠি উদ্‌ধতন কর্তৃপক্ষের বরাবর পাঠিয়েছি। কিন্তু এখনও কোন সমাধান পাইনি।

জেনারেটর সার্ভিসিংয়ের চেস্টা করছি। অনান্য সমস্যা গুলো পর্যায়ক্রমে সমাধান হবে বলে আশা করছি। পটুয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন এস এম কবির হাসান বলেন, এর আগে প্যাথলজি বিভাগ চালু ছিলো না এখন কিছু পরীক্ষা করানো হয়। আল্ট্রা করার জন্য উপযুক্ত ডাক্তার না থাকায় একটু সমস্যা হচ্ছে। এক্স-রে টেকনিশিয়ানের জন্য ঢাকা ডিজি অফিসে কথা বলেছি আশা করি অতি শীঘ্রই পেয়ে যাবো।

ফেসবুকে আমরা

মন্তব্য করুন

guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সর্বাাধিক পঠিত নিউজ

Scroll to Top