স্টাফ রিপোর্টার:
পদোন্নতি পেয়ে বগুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল–২-এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) হিসেবে যোগদান করেছেন এ,এস, এম তাসকিনুল হক। এর আগে তিনি ২০২৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর বগুড়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব নেন। গত ২৭ নভেম্বর ছিল এ আদালতে তার শেষ কর্মদিবস।
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার পালিয়ান পুকুর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে তার জন্ম। তার পিতার নাম জনাব মো. মোশারফ হোসেন। তাসকিনুল হক ছাত্রজীবন থেকেই ছিলেন মেধার উজ্জ্বল প্রতীক। তিনি রাজশাহী বোর্ডের এসএসসি ও এইচএসসিতে দু’বারই (বোর্ড স্ট্যান্ড) যথাক্রমে মেধা তালিকায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন। পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০০২ সালে এলএলবি (অনার্স) এবং ২০০৩ সালে এলএলএম ডিগ্রি সম্পন্ন করেন।
তার পূর্বের সহকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা জানান, সততা, নিষ্ঠা ও কঠোর পরিশ্রম বিচারক তাসকিনুল হকের কর্মদর্শনের মূল ভিত্তি।
বগুড়ায় যোগদান করে মাত্র এক বছরে তিনি নিষ্পত্তি করেছেন ১০ হাজার ৭২৮টি মামলা—যা আদালতের মামলাজট কমাতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে। চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের স্টেনোগ্রাফার মাকছুদুর রহমান মাকছুদ বলেন, “বিচারিক কার্যক্রমে তিনি যে শৃঙ্খলা, গতিশীলতা ও মানবিকতা প্রদর্শন করেছেন, তা জেলার বিচারাঙ্গণে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।”
পারিবারিক জীবনে অত্যন্ত সুখী বিবাহিত তাসকিনুল হক দুই কন্যার জনক। মেধাবী পরিবারের দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি বড়।
তাসকিনুল বিচার প্রার্থীদের দুর্ভোগ কমানো এবং ন্যায়বিচার দ্রুত নিশ্চিত করাকে নিজের দায়িত্ব হিসেবে বিবেচনা করেন। তার দায়িত্ববোধ ও পেশাগত উৎকর্ষ আগামী দিনে বিচারব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী ও জনমুখী করবে—এমন প্রত্যাশা সংশ্লিষ্ট মহলের।