রিফাজ বিশ্বাস লালন, ঈশ্বরদী প্রতিনিধি:
পাবনার ঈশ্বরদীতে নির্বাচনী প্রচারণাকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও জামায়াতকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মামলা করা হয়েছে বলে দাবি করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা ও বিএনপির নেতা মাহবুবুর রহমান পলাশ বলেছেন, জামায়াত একটি সন্ত্রাসী এবং ক্যাডার ভিত্তিক সংগঠন। আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাবনা-৪(ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) আসনে ভরাডুবির ভয়ে বিএনপির ৩৮ জনের নামে এই মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে।
আজ সোমবার (১ ডিসেম্বর) বিকেলে ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম নয়নের ঈশ্বরদী শহরের জিগাতলাস্থ নিজ বাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে রফিকুল ইসলাম নয়নের পক্ষে লিখিত বক্তব্যসহ সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা ও বিএনপি নেতা মাহাবুবুর রহমান পলাশ।
পলাশ দাবি করে বলেন, ঘটনার সময় রফিকুল ইসলাম নয়নসহ বিএনপির অনেক নেতাকর্মী ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন না।
জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী আবু তালেব মন্ডল শহর ও উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ভোট কেন্দ্রে ভোটে ভরাডুবি হবে বুঝতে পেরে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা দিয়েছেন।
পলাশ আরও বলেন, ঘটনার সময় জামায়াত প্রার্থী আবু তালেব মন্ডলের সঙ্গে যাওয়া জামায়াতের কর্মী তুষার মন্ডল প্রকাশ্যে অস্ত্র প্রদর্শন করে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর গুলিবর্ষণ করে। যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। অস্ত্রধারী ওই যুবক জামায়াতের প্রার্থী আবু তালেব মন্ডলের ভাতিজা মামুন মন্ডলের ক্যাডার হিসেবে কাজ করে। তুষার সবসময় সশস্ত্রভাবে তালেব মন্ডলের সঙ্গে থাকে।
সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক পানজুর রহমান সরদার, সদস্য সচিব মইনুল ইসলাম সরদার, সাহাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব রমজান আলী, পৌর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আজমল হোসেন ডাবলু, ঈশ্বরদী উপজেলা মহিলাদলের সাধারণ সম্পাদক চামেলী খাতুন, সাহাপুর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা হামিদুর রহমান হামদু, ঈশ্বরদী সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি খালেদ বিন পার্থিব, পাবনা জেলা ছাত্রদলের সদস্য সম্রাট হোসেনসহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের অসংখ্য নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। পরে মামলা প্রত্যাহারসহ জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থীর বিরুদ্ধে শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভা করা হয়।
জামায়াতে ইসলামের মনোনীত প্রার্থী আবু তালেব মন্ডল বলেন, জামায়াতে ইসলাম একটি সুশৃঙ্খল দল।
এখানে সন্ত্রাসীদের কোনো স্থান নেই। সংঘর্ষের সময় অস্ত্রধারী যুবক তুষার মন্ডলকে, তা আমি জানি না। তাকে আমি চিনি না। তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে ওই যুবকের সঙ্গে আমাদের প্রচারণার ছবি সংযুক্ত করে বিএনপির পক্ষ থেকে তাকে জামায়াতকর্মী হিসেবে প্রচার করা হচ্ছে।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আ স ম আব্দুন নূর বলেন, সংঘর্ষে অস্ত্র প্রদর্শনসহ গুলিবর্ষণ করা যুবকের নাম তুষার মন্ডল।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ছবি দেখে তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। সে জামায়াতের কর্মী। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে