মোঃ আমিরুল হক, রাজবাড়ী প্রতিনিধি :
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজবাড়ী-২ (পাংশা-কালুখালী-বালিয়াকান্দি) আসনে মোঃ হারুন-অর-রশীদকে প্রার্থী ঘোষণা করেছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এবার বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) আসনটিতে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। এ দলের প্রার্থীর নামও হারুন-অর-রশীদ। অর্থাৎ আসনটিতে হবে দুই হারুনের নির্বাচনি লড়াই।
বিএনপির প্রার্থী হারুন-অর-রশীদ রাজবাড়ী জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তিনি পাংশা উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের মাছপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। বিগত দিনে রাজবাড়ী জেলা বিএনপির বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন হারুন-অর-রশীদ। ছাত্ররাজনীতি থেকে উঠে এসে তিনি জেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক, যুগ্ম আহ্বায়ক এবং দুই মেয়াদে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
দলের দুঃসময়ে নেতাকর্মীদের সংগঠিত রাখা, বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে অংশ নেওয়া এবং ইউনিয়ন-উপজেলা পর্যায়ে সাংগঠনিক কমিটি পুনর্গঠনে হারুন-অর-রশীদ সক্রিয় ভূমিকা রাখেন বলে স্থানীয় নেতাদের দাবি। দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পরপরই তিনি মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সঙ্গে যোগাযোগ ও ঐক্যবদ্ধভাবে ধানের শীষকে বিজয়ী করার জন্য কাজ শুরু করেছেন।
রাজবাড়ী-২ আসনে দল তাকে মনোনীত করলেও দলের চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কারণে নেতাকর্মীদের মিষ্টিমুখ, মিছিল ও আনন্দ উল্লাস থেকে বিরত থাকতে বলেছেন।
এদিকে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ব্যানারে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোঃ হারুন-অর-রশীদ। তিনি রাজবাড়ী জেলা জামায়াতের সাংগঠনিক সেক্রেটারি এবং দীর্ঘদিন পাংশা উপজেলা আমির হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। কর্মজীবনে তিনি একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতেন। তিনি পাংশা পৌরসভার মাগুড়াডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা।
মোঃ হারুন-অর-রশীদ ধর্মভিত্তিক ভোট ব্যাংকের ওপর ভরসা করে নির্বাচনী মাঠে শক্ত অবস্থান তৈরির লক্ষ্যে কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন জামায়াতের স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
রাজবাড়ী-২ আসনে এনসিপি থেকে প্রার্থী হচ্ছেন কবি সাইয়েদ জামিল। এ ছাড়া গণঅধিকার পরিষদ, খেলাফত মজলিস এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশও আসনটিতে প্রার্থী দেবে বলে শোনা যাচ্ছে। ফলে বহুদলীয় প্রতিযোগিতা হলেও মূল লড়াই হবে দুই ‘হারুন’-এর মধ্যে, এমনটাই ভাবছেন ভোটাররা।
গুরুত্বপূর্ণ এই আসনে বিএনপি’র সক্রিয় ভোটব্যাংক থাকলেও জামায়াতের নীরব সাংগঠনিক প্রভাবও রয়েছে।
রাজবাড়ী-২ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৫ লাখ ৭৯ হাজার ৪৪৯ জন। এর মধ্যে ২ লাখ ৯২ হাজার ৮৫২ জন পুরুষ ভোটার, ২ লাখ ৭৭ হাজার ৫৯৪ জন নারী ভোটার এবং ৩ জন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছে