নিজস্ব প্রতিনিধি:
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। শনিবার দুপুর ১টার দিকে তিনি নির্বাচন কমিশন ভবনে পৌঁছে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগে বায়োমেট্রিক তথ্য প্রদান করেন। মাত্র ১৬ মিনিটের মধ্যেই নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ করে তিনি ইসি ভবন ত্যাগ করেন।
এনআইডি মহাপরিচালক এস এম হুমায়ুন কবীর জানান, ফিঙ্গারপ্রিন্ট সম্পন্ন করার পর ৭ থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তারেক রহমান জাতীয় পরিচয়পত্র পাবেন। নির্বাচন কমিশনের প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (ইটিআই) ১০৪ নম্বর কক্ষে তার নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। এর মাধ্যমে তার ভোট প্রদান ও প্রার্থী হওয়া—দুটিই আর কোনো জটিলতায় রইল না।
ইসি ভবনে প্রবেশের সময় রাস্তার দুইপাশে থাকা নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের শুভেচ্ছা গ্রহণ করেন তিনি। তফসিল ঘোষণার পর এর আগে শেখ রেহেনা, সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার এবং নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমানসহ কয়েকজনও ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হন। এ সময় ইসির সিনিয়র সচিব, এনআইডির ডিজি ও আইডিপি প্রকল্পের পিডি উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে তারেক রহমানের স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও একমাত্র মেয়ে জাইমা রহমান ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হন। দীর্ঘ ১৭ বছর বিদেশে থাকার কারণে তিনি ভোটার হতে পারেননি; ২০০৭ সাল থেকে ছবিসহ ভোটার তালিকা চালু হওয়ার পর এটি ছিল তার প্রথম নিবন্ধন। ভোটার তালিকায় তার নাম অন্তর্ভুক্তির পর ঢাকা-১৭ আসনের সম্পূরক তালিকা সংশোধন করে প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন।
মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন ২৯ ডিসেম্বর। নিবন্ধন সম্পন্ন হওয়ায় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে আর কোনো আইনগত বাধা নেই তারেক রহমানের। ইতিমধ্যে বগুড়া আসনে তার নামে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ১১ ডিসেম্বর তফসিল ঘোষণার পর আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।