নিজস্ব প্রতিনিধি:
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের সংসদীয় রাজনীতিতে এক অনন্য নির্বাচনি রেকর্ড গড়ে গেছেন—তিনি কখনোই নির্বাচনে পরাজিত হননি। বগুড়া, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, চট্টগ্রাম, ঢাকা ও খুলনায় ভোটের সমীকরণ বদলালেও ফল বদলায়নি; পাঁচ দফা জাতীয় নির্বাচনে মোট ২৩টি আসন থেকে প্রার্থী হয়ে প্রত্যেকটিতেই বিজয়ী হয়েছেন তিনি। ব্যালট পেপারে তার নাম মানেই ছিল প্রায় নিশ্চিত জয়।
১৯৯১ থেকে ২০০১ সালের তিনটি জাতীয় নির্বাচনে বেগম খালেদা জিয়া প্রতিবারই পাঁচটি করে আসনে প্রার্থী হন এবং সবগুলোতেই জয় পান। পরবর্তী ২০০৮ সালের নির্বাচনে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তিনটি আসনে—সেখানেও অর্জন করেন টানা জয়। দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে তিনবারের এই সাবেক প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনি রেকর্ডের সমকক্ষ আর কেউ নেই।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তাকে তিনটি আসনে প্রার্থী করা হয়—এই বিশ্বাসে যে তিনি সুস্থ হয়ে ভোটের মাঠে ফিরবেন। এমনকি অসুস্থতা ও লাইফ সাপোর্টের মধ্যেও বিএনপির সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত ছিলেন তিনি।
১৯৮১ সালে স্বামী ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডের পর রাজনীতিতে তার উত্থান নতুন মোড় নেয়—একজন গৃহবধূ থেকে তিনি ক্রমে পরিণত হন জাতীয় রাজনীতির শীর্ষ নেতৃত্বে।
১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের নির্বাচনে বগুড়া, ফেনী, লক্ষ্মীপুর ও চট্টগ্রামের একাধিক আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রতিবারই জয়ী হন এবং নির্বাচিত আসনগুলোর মধ্যে একটি রেখে বাকিগুলো ছেড়ে দেন। সর্বশেষ ২০০৮ সালের নির্বাচনে বগুড়া-৬, বগুড়া-৭ ও ফেনী-১ আসনে জয়লাভের পর তিনি ফেনী-১ আসনটির প্রতিনিধিত্ব করেন।
তার নির্বাচনি ইতিহাস বিশ্লেষণে দেখা যায়, শুধু জয়ই নয়—প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে ভোটের ব্যবধানও ছিল উল্লেখযোগ্য। বাংলাদেশের নির্বাচন ইতিহাসে ধারাবাহিক সাফল্যের এ নজির তাকে জাতীয় রাজনীতির এক ব্যতিক্রমী ও প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বে পরিণত করেছে।