নিজস্ব প্রতিনিধি:
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দাফন সম্পন্ন হয়েছে। সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের কবরের পাশে তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়। দাফনের সময় সবার আগে কবরে নামেন তার বড় ছেলে ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। নিজ হাতে তিনি মায়ের মরদেহ কবরে শায়িত করেন এবং প্রথম মাটি দেন।
বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টার পর দাফন সম্পন্ন হয়। এ সময় তিন বাহিনীর প্রধান, বিএনপির শীর্ষ নেতারা ও স্বজনরা কবরস্থানে উপস্থিত ছিলেন। কিছুটা দূরে অবস্থান করেন তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান, ছোট ভাই আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান ও নাতনি জাইমা রহমানসহ পরিবারের নারী সদস্যরা। দোয়া শেষে তারা কবরে নেওয়া মাটিতে স্পর্শ করে বিদায়ের মুহূর্তে আবেগাপ্লুত হন।
এর আগে স্মরণকালের বৃহত্তম এক জানাজা অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায়। বুধবার বিকাল ৩টা ৩ মিনিটে অনুষ্ঠিত এ জানাজায় অংশ নেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা, তিন বাহিনীর প্রধান, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ, বিদেশি কূটনীতিক এবং লাখো মানুষ। মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ ও আশপাশের কয়েক কিলোমিটারজুড়ে মুসল্লিদের ঢল নামে।
জানাজার আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তারেক রহমান বলেন, “আমার মা যদি কাউকে কোনোভাবে কষ্ট দিয়ে থাকেন, দয়া করে ক্ষমা করে দেবেন। আমার মায়ের জন্য দোয়া করবেন। তার কোনো ঋণ থাকলে আমাকে জানাবেন, আমি পরিশোধ করব।”
জানাজার ইমামতি করেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব শেখ আব্দুল মালেক।