নিজস্ব প্রতিনিধি:
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফেনী জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে দাখিল করা মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে—মৃত্যুর আগেই বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া সব মামলায় খালাস বা অব্যাহতি পেয়েছিলেন।
হলফনামায় বলা হয়, ২০০৭ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দায়েরকৃত ২টি মামলাসহ পরবর্তী সময়ে মোট ৩৫টি মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ আনা হয়। এর মধ্যে ২২টি মামলায় তিনি খালাস এবং বাকি ১৩টি মামলায় মৃত্যুর পূর্বেই অব্যাহতি লাভ করেন।
মামলাগুলোতে দুর্নীতি, রাষ্ট্রদ্রোহ, নাশকতা, অগ্নিসংযোগ, মানহানি, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতসহ নানা অভিযোগ আনা হয়েছিল। এর মধ্যে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় তাকে দণ্ড দেওয়া হয় এবং ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি সাজার পর তিনি কারাভোগ শুরু করেন। দুই বছর এক মাসের বেশি সময় কারাগারে থাকার পর করোনাকালে সরকারের সিদ্ধান্তে শর্তসাপেক্ষে দণ্ড স্থগিত করে তাকে বাসায় থাকার সুযোগ দেওয়া হয়।
হলফনামায় আরও উল্লেখ করা হয়, পরবর্তী রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের পর একে একে বাকি মামলাগুলো নিষ্পত্তি হয় এবং ২০২৪–২০২৫ সালের মধ্যে সব মামলারই সমাপ্তি ঘটে।
বিষয়টি নিয়ে ফেনী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল অভিযোগ করেন, রাজনৈতিক আক্রোশ থেকেই এসব মামলা করা হয়েছিল এবং সেগুলো ছিল প্রতিহিংসামূলক। তাঁর দাবি, দীর্ঘদিন কারাবাস ও চিকিৎসা সংকটে ভোগার কারণেই খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে।