২০শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৯শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

বন্যার জন্য নেপালকে দুষলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বন্যা পরিস্থিতির জন্য নেপালকে দায়ী করেছেন। রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) মমতা এক বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে তিনি নেপালের দিকে অভিযোগ তুলেন।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, কোশি নদীর পানিতে বিহারেও এবার বন্যা পরিস্থিতি।  ৫ লাখ কিউসেক পানি ছাড়া হয়েছে। আর বিহার হয়ে এ রাজ্যে উত্তরের দিকটায় পানি ঢুকছে। দক্ষিণ দিনাজপুরেও বন্যা হতে পারে। সতর্ক থাকতে হবে। নেপালের পানিতে বাংলা, বিহার ভাসছে। আর ফরাক্কায় তো ড্রেজিংই হয় না।

ভারতীয় একাধিক সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ির বহু এলাকা পানিবন্দি। নদী তীরবর্তী জায়গার ঘরবাড়ি পানির নিচে। ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন বহু মানুষ। সেইসঙ্গে আগামী কয়েকদিনে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে, ফলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা।

এমন পরিস্থিতিতে মমতা বলেছেন, কোশি নদীর পানিতে উত্তরবঙ্গের বহু এলাকা ডুবেছে। সেই পানি বিহার দিয়ে বাংলায় প্রবেশ করেছে। আর অন্যদিকে, সংকোশ নদীর পানি বৃদ্ধিতে মালদহে বন্যা হয়েছে।

এ ছাড়া কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করে মমতা বলেন, গত ২০ বছর ধরে ফারাক্কায় কোনো ড্রেজিং হয় না, এর দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সরকারের। আগে ওরা ১২০ কিলোমিটার দেখভাল করতো, এখন সেখানে মাত্র বিশ কিলোমিটার দেখভাল করে। কিছুই করে না।

অন্যদিকে তুমুল বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যা-ভূমিধসে বিপর্যস্ত নেপাল। হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটিতে বন্যা-ভূমিধসে এখন পর্যন্ত ১১২ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। নিখোঁজ রয়েছে ৬৪ জন।

খবরে বলা হয়েছে, গত শুক্রবার থেকে নেপালে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। এতে করে দেশটির নিমাঞ্চল প্লাবিত হয় এবং বিভিন্ন নদীর পানির উচ্চতা বেড়ে যায়।

বন্যা এবং ভূমিধসের কারণে দেশটির অনেক রাস্তা পানিতে ডুবে গেছে এবং বন্ধ হয়েছে। ভূমিধসের কারণে অন্তত আটটি রাস্তা ব্লক হয়ে আছে। অনেকে বাড়ির ছাদে আটকা পড়ে আছেন।

দেশটির আবহাওয়া ব্যুরো কাঠমান্ডু পোস্টকে বলেছে, রাজধানীতে ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড বৃষ্টি হয়েছে। ১৯৭০ সালের পর এটি সর্বোচ্চ। শনিবার সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় কাঠমান্ডুতে রেকর্ড ২৪০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া রাজধানীর কিছু অংশে ৩২২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।

 

ফেসবুকে আমরা

মন্তব্য করুন

guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সর্বাাধিক পঠিত নিউজ

Scroll to Top