২৫শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২রা রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

জনগণ ও রোহিঙ্গাদের জন্য সহায়তা বন্ধ করবে না ইতালি

ইতালির পররাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী মারিয়া ত্রিপোদি জানিয়েছেন, ইতালি বাংলাদেশের জনগণ ও রোহিঙ্গা মুসলমানদের জন্য তাদের উন্নয়ন সহায়তা বন্ধ করবে না। তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের চলমান সংস্কার কার্যক্রমকে এগিয়ে নেওয়ার প্রচেষ্টার প্রতি তার দেশের দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এসব কথা বলেন। পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তাদের মধ্যে আলোচনা হয়।

বৈঠকে ত্রিপোদি প্রধান উপদেষ্টাকে বলেন, আমরা আশা করি, আপনি সংস্কার কার্যক্রমে সফল হবেন। আমাদের প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে আপনাকে যা বলেছিলেন, তা পুনরায় উল্লেখ করতে চাই—আপনি সবসময় আমাদের ওপর ভরসা করতে পারেন।

তিনি আরও বলেন, ইতালি ও বাংলাদেশ অত্যন্ত ঘনিষ্ট। অনেক বাংলাদেশি নাগরিক ইতালিতে বসবাস করেন, যারা আমাদের দেশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।

তিনি অবৈধ অভিবাসন রোধে বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।

প্রধান উপদেষ্টা বৈধ অভিবাসন প্রসারে প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, বাংলাদেশ মানবপাচার বন্ধে কঠোর পরিশ্রম করছে এবং দক্ষ জনশক্তিকে আনুষ্ঠানিক চ্যানেলের মাধ্যমে বিদেশে পাঠানোর প্রচেষ্টা বাড়াচ্ছে।

তিনি বলেন, আপনার এ সফর ঐতিহাসিক একসময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাংলাদেশকে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার পথে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। যা জুলাইয়ে ছাত্রদের নেতৃত্বে গণআন্দোলনের মাধ্যমে বছরের পর বছরের দুরবস্থার অবসানের পর শুরু হয়েছে।

ড. ইউনূস বলেন, আমরা বহু চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। আমাদের অর্থনীতি পুনরুজ্জীবিত করা ও রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রতি আস্থা পুনঃস্থাপনসহ নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার প্রচেষ্টা চলছে।

ইতালির উপমন্ত্রী এ প্রসঙ্গে বলেন, বাংলাদেশের প্রতি তাদের সরকারের পূর্ণ সমর্থন থাকবে। ইতালি বাংলাদেশের জনগণ ও রোহিঙ্গা মুসলমানদের জন্য তাদের উন্নয়ন সহায়তা বন্ধ করবে না।

তিনি জানান, অনেক ইতালীয় কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী এবং বিশেষ করে টেক্সটাইল, জ্বালানি ও প্রতিরক্ষা খাতকে সম্ভাবনাময় বলে উল্লেখ করেন।

প্রধান উপদেষ্টা ইতালিকে তাদের কারখানা বাংলাদেশে স্থানান্তরের আহ্বান জানান এবং দুই দেশের তরুণদের মধ্যে বিনিময় কর্মসূচির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

ত্রিপোদির এ সফর ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোনো দেশের প্রথম মন্ত্রী পর্যায়ের সফর, যা গত বছরের আগস্টে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর অনুষ্ঠিত হলো।

 

ফেসবুকে আমরা

মন্তব্য করুন

guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সর্বাাধিক পঠিত নিউজ

Scroll to Top